সেলফোন কোথায় রাখা উচিত নয়?
সেলফোন কোথায় রাখা উচিত নয়?
১, ব্যাক পকেটে :
ফোনের টাচ স্ক্রিন বাড়তি চাপে নষ্ট হতে পারে।
অযাচিত নম্বরে ফোন চলে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের জরুরি ৯১১ নম্বরে আসা ফোনের ৩০% অনিচ্ছাকৃত টাচ
স্ক্রিনের চাপে।
ফোন হারিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাক পকেটে রাখাটাও দায়ী।
২, সামনের পকেটে:
ছেলেদের অন্যতম প্রিয় জায়গা।
বিভিন্ন স্টাডি তে দেখা গেছে বিদ্যুৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ বীর্য উৎপাদন ও
গঠন প্রভাবিত করে।
যত বেশি সময় রাখা হবে ঝুঁকি তত বেশি হবে ।
৩, বুক পকেটে:
সুস্থ হৃদযন্ত্রের জন্য এখানে রাখা সমস্যা নয়।
যাদের হৃদপিন্ডে পেসমেকার ও ডিফিব্রিলেটর আছে তাদের জন্য হৃদপিণ্ড থেকে
ফোন ছয় ইঞ্চি দূরে রাখা শ্রেয়।
৪, বালিশের নিচে:
রাতে অসংখ্য নোটিফিকেশন আসে, স্ক্রিন আলোকিত হয়, শব্দও হয়। এতে
মেলাটোনিন হরমন নিঃসরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় যা ঘুমের ছন্দপতন ঘটায় ।
সেলফোনের দীর্ঘ সময় তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণ মাথাব্যথা ও অবসাদ আনতে
পারে।
বালিশের নিচে রাখা ফোন চার্জিং অবস্থায় থাকলে কখনো বার্স্টও হতে পারে
।
৫, উচ্চতর তাপমাত্রা যুক্ত স্থানে
উচ্চ তাপাত্রায় শুধু ফোন নয় যে কোন ইলেকট্রনিক ক্ষতি গ্রস্ত হয়।
রান্নাঘরে, চুলার ধারে, বীচ এ বালুর উপর বা লক গাড়ির ভিতরে রাখা
অনুচিত।
৬, খুব ঠান্ডা যুক্ত স্থানে
হিমাঙ্কের নিচে কোন স্থানে রাখলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। সেক্ষেত্রে
সেটিকে সরাসরি গরম না করে নরমাল অবস্থানে আনতে হবে।
৭, রাতে চার্জে দিয়ে রাখা
শরীরের খুব কাছে চার্জে না রাখা ভাল। রেডিয়েশন হ্যাজার্ড কম হয়।
সারারাত চার্জিং ব্যাটারির আয়ু কমিয়ে দেয়।
৮, শরীরে স্পর্শ না করানো
সেলফোনে অনেক জীবাণু থাকে। বিভিন্ন স্থানে রাখার ফলে এতে ধুলাবালি জমা
হয়।
ইলেকট্রো ম্যাগ্নেটিক আশঙ্কাও কমে যায়।
তাই ত্বকের সংস্পর্শে না আনা শ্রেয় । ০.৫ সেমি দূরে রেখে কথা বলা
উচিত।
৯, গোপন স্থানে:
যদিও সাম্প্রতিক গবেষনা বলছে, সেলফোনের সাথে ক্যানসারের ঝুঁকি নেই তবুও
অনেক ব্রেস্ট সার্জনরা একে ব্র্যা এর ভেতর না রাখতে পরামর্শ দেন। এতে
ব্রেস্ট ক্যানসারের উদ্দীপক হিসেবে কাজ করতে পারে।
কাভারের ভিতরে থাকায় E M R জনিত রেডিয়েশন ক্ষতি কম হয়।
ফোনের নিরাপত্তা বা ভেঙে যাওয়া থেকে মুক্ত থাকে।
১৩, সেলফোন পার্স
সূত্র, ছবির:
BrightSide - Inspiration. Creativity. Wonder.
Is It Safe to Carry a Cellphone in Your Shirt Pocket?
মন্তব্যসমূহ