পালস্ অক্সিমিটার
এমনই এক পরিস্থিতিতে বাজারে হু হু করে বিক্রি হচ্ছে Pulse Oximeter। এমনকি ছোট্ট এই যন্ত্রের চাহিদার সামাল দিতে গিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ছুটছে দোকানদার থেকে ই-কমার্স সাইটগুলির! তবে, এর মধ্যে সবথেকে উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে নকল পালস অক্সিমিটার।
নকল Pulse Oximeter-এ এই মুহূর্তে বাজার ছেয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই কোভিড সংক্রমণের সময়ে খুবই জরুরি Pulse Oximeter। আর তা কেনার আগে ভালো করে যাচাই করে নেওয়া প্রয়োজন।
এই যন্ত্রটিকে আপনার আঙুলের মধ্যে ঠেকিয়ে অন করতে হবে। আর তার ঠিক পরেই আপনার রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ মাপতে শুরু করে দেবে Pulse Oximeter।
এই যন্ত্রে আপনি দুটি রিডিং পাবেন। SpO2 রিডিংয়ের মাধ্যমে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ জানা যাবে। অন্যদিকে আবার পালস রিডিংয়ের মাধ্যমে পালস রেট জানতে পারবেন।
আপনার Pulse Oximeter আসল না নকল? বুঝে নেওয়ার সহজ উপায় জেনে নিন।
Pulse Oximeter সঠিকভাবে কাজ করছে কী না, তা বোঝার জন্য শুরুতেই আঙুলের পরিবর্তে একটি চামচ পালস অক্সিমিটারে ঢুকিয়ে, তা অন করে দিন।
এর ফলে কোনও রিডিং দেখাবে না। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তা বন্ধ হয়ে যাবে। অন্যদিকে যন্ত্রের মধ্যে আঙুল ঢোকালেই যদি রিডিং দেখা যায়, তাহলে বুঝবেন যন্ত্রটি আসল।
চামচ ঢোকানোর পরেও যদি আপনার Pulse Oximeter রিডিং দেখায়, তাহলে বুঝবেন যন্ত্রটি খারাপ অথবা নকল।।
পালস্ অক্সিমিটার ব্যবহার পদ্ধতি
বাড়িতে Pulse Oximeter কী ভাবে ব্যবহার করবেন?এর পরে আপনি আঙুলের গোড়ায় একটি দড়ি দিয়ে বেঁধে, সেই আঙুল পালস অক্সিমিটারের মধ্যে ঢুকিয়ে দিন। আঙুলের গোড়া দড়ি বাঁধার জন্য আঙুলের ডগায় রক্তে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছবে না।
তাই মেশিন ঠিক থাকলে রিডিং দিতে অনেক দেরি হবে। কয়েকবার চেষ্টা করার পর মেশিন বন্ধও হয়ে যেতে পারে।
তবে যন্ত্রটি নকল হলে এই অবস্থাতেও আঙুলের মাথায় ঠেকানোর সঙ্গে সঙ্গে তা রিডিং দেখাতে শুরু করবে।
অক্সিমিটার-এর সাহায্যে রক্তে অক্সিজেন লেভেল মাপায় ঠিক কী কী জানা প্রয়োজন?
করোনা রোগীর রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ মাপার আগে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন। ডাক্তারের দেওয়া নির্দেশ মেনে চলুন।
কতক্ষণ অন্তর রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ মাপতে হবে, তা ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিন। মেশিন প্রস্তুতকারী সংস্থার নির্দেশ অনুসরণ করুন।
পালস অক্সিমিটার কেনার সময় ইউজার ম্যানুয়ালে এই নির্দেশিকা পেয়ে যাবেন। মেশিন ব্যবহারের আগে আঙুল উষ্ণ, নরম ও হৃদপিণ্ডের নীচে রাখুন। নেল পালিশ থাকলে তুলে ফেলুন।
রিডিং নেওয়ার সময় নড়াচড়া করবেন না। শুরুর রিডিং নেবেন না। কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করার পরই রিডিং নিন। প্রত্যেক রিডিংয়ের সময় ও তারিখ উল্লেখ করে লিখে রাখুন।
মন্তব্যসমূহ