স্বাস্থ্যের কথা
আমাদের আয়ু
আমরা সকলেই জানি যে আমরা কতদিন বেঁচে থাকবো তা আমাদের ভাগ্য বা নিয়তি অথবা আমাদের জিনের কারসাজি। একটি স্বাভাবিক সেলুলার প্রক্রিয়া হিসাবে, প্রতিটি কোষ বিভাজনের সাথে টেলোমেরিক ডিএনএর একটি ছোট অংশ হারিয়ে যায়। যখন টেলোমেরের দৈর্ঘ্য একটি গুরুতর সীমাতে পৌঁছে যায়, তখন কোষটি বার্ধক্য এবং/অথবা অ্যাপোপটোসিসের মধ্য দিয়ে যায়। তাই টেলোমেরের দৈর্ঘ্য একটি কোষ এবং একটি জীবের জীবনকাল নির্ধারণের জন্য একটি জৈবিক ঘড়ি হিসাবে কাজ করতে পারে।
দীর্ঘায়ু :
দীর্ঘায়ুকে একজনের জীবনের লম্বা দৈর্ঘ্য হিসাবে উল্লেখ করা হয়। আমরা এটিকে ক্যালেন্ডারের বছরগুলিতে পরিমাপ করি। আর কিছু না হোক আপনি নিশ্চয় নাতি নাতনীদের দেখে যেতে চাইতে পারেন, যারা আপনার জিনের উত্তরাধিকার বৈশিষ্ট্য গুলো বহন করছে। এটি কম সুখের নয়।
দীর্ঘ, স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জন্য কয়েক টি কৌশল। যদিও দীর্ঘকাল বেঁচে থাকার জন্য সর্বোত্তম পরিকল্পনা হল চারটি লাইফস্টাইল ফ্যাক্টর অবলম্বন করা, যা আমাদের জন্য অতীব প্রয়োজন।
এখানে সেই ৪টি বিষয়, সবই আমাদের নিয়ন্ত্রণে।
- ধূমপান ও মদপান না করা
- স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা
- নড়াচড়া করা
- স্বাস্থ্যকর খাবার পছন্দ করা
প্রথমেই বাদ দিতে হবে ধূমপানের অভ্যাস। কমাতে হবে মদ্যপান। আর ভাল রাখতে হবে মন। মানসিক চাপও কমিয়ে দেয় আয়ু। মোটামুটি এই ক’টি বিষয় তো সকলেরই জানা।
দীর্ঘায়ু পেতে এগুলির সঙ্গেই খাদ্যাভ্যাসেও আনতে হবে বদল। অতিরিক্ত ভাজাভুজি, মিষ্টি এবং নোনতা খাবারও বাদ দিতে হবে। আর নিয়ম করে খেতে হবে কয়েকটি খাবার। খাদ্য তালিকায় প্রচুর এন্টি এক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার সংযোজন ও ফ্রী রেডিকেল উৎপাদনকারী খাবার বর্জন করতে হবে।
শ্রেষ্ঠ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার »যৌবন দীর্ঘস্থায়ী করার উপায়
কীভাবে তরুণ থাকবেন – কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও ডায়েট যেমন
কোন কোন খাবার বাড়িয়ে দিতে পারে আয়ু?
রইল এমন কয়েক টি খাবারের সন্ধান। নিয়ম করে এগুলি খেলে ১০০ পর্যন্ত সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব।
মধু:
হৃদ্রোগ এবং ক্যানসারের আশঙ্কা অনেক খানি কমিয়ে দিতে পারে মধু। রোজ নিয়ম করে এক চামচ খাঁটি মধু খেলে এই অসুখগুলির আশঙ্কা অনেক কমে যায়। স্তন, যকৃত এবং অন্ত্রের ক্যানসারের আশঙ্কা অনেক কমে মধু খেলে। দীর্ঘ দিন সুস্থ ভাবে বাঁচা সম্ভব এর প্রভাবে।
বেদানা:
দীর্ঘায়ু পাওয়ার বিষয়ে অনেক সাহায্য করতে পারে এই ফল। এর নানা ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে দেয় তো বটেই, কিন্তু তার পাশাপাশি রয়েছে আরও অনেক গুণ। বেদানা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। বেদানার কয়েকটি উপাদান পেশির ক্ষয়ের পরিমাণ অনেক কমিয়ে দিতে পারে। এ ছাড়াও বার্ধক্যজনিত নানা অসুখ, স্নায়ুর নানা সমস্যাও কমিয়ে দিতে পারে বেদানার বেশ কয়েকটি উপাদান। ফলে নিয়মিত একটি করে বেদানা খেলে বার্ধক্যের ছাপ কম পড়ে শরীরে।
কাঁচকলা:
দীর্ঘায়ু পেতে নিয়মিত কাঁচকলা খান। এটিও দারুণ কাজের। রক্তচাপের কারণে অনেকেই হৃদ্রোগের মতো সমস্যায় আক্রান্ত হন। কাঁচকলা নিয়মিত খেলে এই সমস্যা কমে। কারণ এটির নানা উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়াও কিডনির ক্যানসার প্রতিহত করতে পারে কাঁচকলার কয়েকটি উপাদান।ছাগলের দুধ:
ছাগলের দুধেও এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যেগুলি ক্যানসার প্রতিহত করতে সাহায্য করে। যে মহিলারা নিয়মিত ছাগলের দুধ খান, তাঁদের স্তনের ক্যানসারের আশঙ্কা অনেক কমে যায়। তবে কতটা পরিমাণে এই দুধ খাবেন, তা চিকিৎসকের থেকে জেনে নেওয়া উচিত।চর্বিযুক্ত মাছ:
যাদের রক্তে উচ্চ মাত্রার ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে - রুই, সার্ডিনের মতো চর্বিযুক্ত মাছ সপ্তাহে অন্তত দুবার খাওয়ার মাধ্যমে বজায় রাখা সম্ভব - তাদের অকাল মৃত্যুর সামগ্রিক ঝুঁকি ২৭ শতাংশের মতো কম, এবং হার্ভার্ড গবেষকদের মতে, তাদের হৃদরোগে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ৩৫ শতাংশ কম। আপনি এই মাছগুলির যেকোনওভাবে ফ্রাই, গ্রিল বা তরকারি করতে পারেন এবং পাস্তা, সালাদ বা এমনকি অমলেটের মতো খাবারে মিশিয়ে খেতে পারেন।
মটরশুটি
স্বাস্থ্যকর খাদ্য - উচ্চ রক্তচাপ (উচ্চ রক্তচাপ) এবং ডিমেনশিয়া বয়সের সাথে বৃদ্ধি পায়। ক্রোমোজোমের ডিএনএ এর প্রান্তঃগুলোর হ্রাস কমাতে উপরোক্ত খাবারের মতো খাওয়ার ধরণগুলি বয়স্ক বয়সের সাথে এবং অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী অবস্থার ঝুঁকি কমাতে পারে।
সূত্রঃ বিজনেস ইনসাইডার।
মন্তব্যসমূহ