মানুষ সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য,
১, পুরুষের প্রতিরক্ষা!
২, নারীর রয়েছে জেনেটিক সুরক্ষা!
নারীদের ভ্রূণ xx ও পুরুষের xy । y ক্রোমোসোম x এর তুলনায় ভঙ্গুর। পৃথিবীতে প্রতি ১৬০ টি পুরুষের বিপরীতে ১০০ নারীর জন্ম হয় (১৬০:১০০) । পুরুষ ভ্রূণের গর্ভপাত হার বেশি, সেটা তখন দাড়ায় ১০৫:১০০ অনুপাত।
নবজাতক মৃত্যুর হার পুরুষের বেশি। তখন অনুপাত হয় ১০০:১০৫ যা নারীদের পক্ষেই যায় ( বাংলাদেশে পুরুষ নারীর অনুপাত ১০০:১০৩)।
৩, গঠন ও কাজের দিক দিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা x ক্রোমোসোম বা নারীদের বেশি। সেটা কোভিড ১৯ রোগ সংক্রমন দিয়েও বোঝা যায়।
২ টি x ক্রোমোসোম কে দুইধারী ইমিনোলোজিকেল তরবারি বলা হচ্ছে ।
তাই জন্মগত ও টিকে থাকার লড়াই এ নারী সেরা।৪, সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি নিজের উচ্চতা মাপেন তবে দেখবেন বেশ লম্বা হয়েছেন ( প্রায় ৮ মিমি) । সে সময় শরীরের কার্টিলেজ গুলোর হাড়ের সাথে দূরত্ব ভালই থাকে, কিন্তু অভিকর্ষ বলের প্রভাবে সারাদিনে তা কমে আসে।
৫, এসিড তৈরীর কারখানা!

গ্যাস্ট্রিক জুস পাচক এনজাইম, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য পদার্থ দ্বারা গঠিত রস যা পুষ্টি শোষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ - প্রতিদিন প্রায় ৩ থেকে ৪ লিটার গ্যাস্ট্রিক জুস তৈরি হয় পেটে ।
৬, খাওয়া চিবুনোর মেসেটার পেশী, সবচে শক্তিশালী!
মেসেটার যার কাজ খাওয়া চিবানো।
৭,কর্মক্ষেত্রে নারী চাই!
৮, গোপন খবর

৯,প্রিয় মানুষ কে!

১০,প্রকৃত মেধাবী
প্রকৃত মেধাবীরা সংঘর্ষ এড়িয়ে চলেন। তারা তখনই চুপ থাকেন যখন মুখ খুললে বিপদ হবে জানেন।১১, মানুষের হাসিই সর্ব শ্রেষ্ঠ মেকাপ।
১২, ক্ষনিকের বন্ধুত্ব সারাজীবনের সাথী!
১৩, একাকিত্ব মানে একা থাকা নয় !
১৪, অধিকাংশ মানুষ পুরনো দিনের গান ভালোবাসেন কারন আমাদের স্মৃতিগুলো পুরনো।
১৫, কালোর ভেতরে অনেক রং!
১৬, দক্ষ পাঠকের যোগ্যতা কী !
১৭, শুধু চোখ নয়, মণি ও কথা বলে!
১৮, ফ্লার্টিং নাকি ভালোবাসা!
১৯, সার্কাজম কী!
যে সমস্ত মানুষ সারকাজম বোঝে না ,তারা পরে হতাশা ও মস্তিষ্ক জনিত সমস্যায় ভোগে ।
২০, মাস্ক বা হেজাবে মুখ ঢাকা প্রোফাইল মানে ই ভন্ড !
২১, নিরাশ বন্ধুরা আপনাকে হতাশা, অনিদ্রা ও উদ্বিগ্নতা উপহার দেবে , আশাবাদী বন্ধুরা সুস্বাস্থ্য উপহার দেবে।
২২, কোন বন্ধুকে দেখে যদি খুব উচ্ছাস দেখান তবে পরবর্তীতে সেও আপনাকে দেখে ভীষণ উচ্ছসিত হবে।২৩, শিশুরা দৈহিক ভাবে বসন্তকালেই বেশি বাড়ে।
২৪, নাক, কান বাড়তেই থাকে!
২৫, ডোপামিনের কারসাজি!
২৬, আমাদের ভেতরেই এলিয়েন থাকে !
মানুষের সমস্ত DNA তার পূর্বপুরুষ থেকে আসেনি, প্রায় ৫-৮% ডিএনএ আমাদের অন্ত্রে থাকা রেট্রোভাইরাস থেকে ইতিহাসের পরিক্রমায় আমাদের DNA তে এলিয়েন হিসেবে ঢুকে গেছে। ডিএনএ কোডিং ও প্রজনন কার্যে তারা ভূমিকা রেখে চলেছে।
২৭, আর কতদিন আছি পৃথিবীতে !
মানুষের গড় আয়ু ২৪৭, ৫৫, ৭৬০০০ সেকেন্ড। সুতরাং ,,,,, অহংকার ঝেড়ে ফেলুন।২৮, ডিম্ব থেকেই আমরা!
মহিলাদের ওভারি বা ডিম্বাশয়ে মোট ডিমের সংখ্যা ওই মহিলার ভ্রুণাবস্থায় নির্ধারিত থাকে। মেয়েদের প্রতি পিরিয়ডে নিঃসৃত ডিম্ব ফ্রিজে সংরক্ষণ করা গেলে ভবিষ্যতে যেকোনো সময় সন্তানের জন্ম দেয়া সম্ভব।
চিত্র, দশমাস বয়সি শিশুটির জন্ম একজন মহিলা ডোনার এর ফ্রোজেন ডিম্বাণু থেকে।
২৮, শেখার শেষ কোথায় !
আমাদের অনেক আগেই অন্যান্য প্রাইমেট বা বনমানুষরা সূক্ষ্ণকাজ ও দক্ষতা গুলো শিখে নিয়েছিল। কারন তুলনামূলক বড় মস্তিষ্কের প্রাণীদের দক্ষতা শিখতে বেশি সময় লাগে। মানুষের বাচ্চার জুতার ফিতে বাধা বা কাঁটা চামচ দিয়ে খেতে শেখার জন্য পাঁচ ছয় বছর লেগে যায়। কিন্তু অন্যান্য প্রাইমেটদের এই দক্ষতা শিখতে এত সময় লাগে না।
২৯, দিন শেষে বয়স নিয়ে বলি। মুরগীর বাচ্চার যেদিন জন্ম হয়েছে সেদিন থেকে তার বয়সের শুরু ! কিন্তু প্রকৃত বয়স হলো যেদিন মুরগির ডিমটির জন্ম হয়।
মানুষের জীবনের শুরু ও ০.২ মিলিমিটারের ১টি ডিম থেকে। আমাদের মায়ের জন্মের আগেই তিনি যখন আমাদের নানীর জরায়ুতে ভ্রুনাবস্থায় ছিলেন তার ওভারিতে বা ডিম্বাশয়ে ডিমের সংখ্যা নির্দিষ্ট ছিল। ওইসব একটি ডিম থেকেই আমাদের জীবন শুরু। যে ডিমটি থেকে আমাদের উৎপত্তি আমাদের বয়সও তখন থেকেই শুরু। মাঝে শুধু শুক্রাণুর সাথে দেখা ও নিষেক হয়। আপনার ৩০ তম জন্মদিনে মুল বয়স ( ৩০+১৮ , মায়ের ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার পূর্বের সময় ) , হবে ৪৮ বৎসর!
ধন্যবাদ।
মন্তব্যসমূহ