ঢাকায় সিএনজিগুলো কেন গ্রীল দিয়ে ঘেরা
যদি বিমান, বাস, ট্রেন, কারের দরজা থাকে তবে সিএনজিচালিত ট্যাক্সিতে থাকবেনা কেন? অটো রিকশা এয়ার কন্ডিশন্ড নয় বলে!
আসল ঘটনা হল, একটা সময় ঢাকার সিএনজি চালকরা ড্রাইভিংয়ের পাশাপাশি ভুল করে তাদের পুরোনো পেশায় (ছিনতাই) ফিরে যেতো বিশেষ করে রাত হলে।
সেজন্য রাত বিরাতে সিএনজি যাত্রীদের নিরাপত্তা রক্ষায় খাঁচায় পুরে দেয়ার পুলিশী সমাধান হল এই গ্রীলড-সিএনজি। আফ্রিকার সেরেনগেটি সাফারি পার্কে গ্রীল গাড়িতে ঘুরে বেড়ানোর মত।
ইলিশ মাছ, জামদানি শাড়ি, ফজলি আম, এসবের মত বাংলাদেশের ঐতিহ্য হিসেবে গ্রিল-সিএনজি কে পৃথিবীর একমাত্র প্যাটেন্টেড সিএনজি দাবি করতেই পারে বাংলাদেশ!
যদিও এই সিএঞ্জি তৈরির ক্ষমতা নেই বাংলাদেশের। বাজাজ নামক ভারতীয় কোম্পানির আবিষ্কৃত এই সুন্দর উঠতে সহজ যান টি।
বাংলাদেশে সিএনজি অটোরিকশা চালকরা মিটারে বিমুখ,
অটোরিকশার ভাড়া দ্বিগুণ করা হলেও তাতে চালকরা সন্তুষ্ট হননি।
সমস্যাটি হল - চালকরা মিটার ব্যবহার করতে চান না এবং বেশি দামের জন্য দর কষাকষি করতে চান।
যারা স্বল্প দূরত্বে ভ্রমণ করে তাদের প্রত্যাখ্যান করা হয়। পুলিশ গ্রিল লাগিয়ে এক ধরনের ডাকাতি বন্ধ করতে পারলেও মিটারহীন লাগামহীন ভাড়া আদায় বন্ধ করতে ব্যর্থ।
কারণ বিকল্প যান যেমন, ট্রাম, মেট্রো রেল, সুন্দর বাস বাংলাদেশে নেই। তাই গ্রিল্ড সিএঞ্জি ই ভরসা।
এই জঘন্য যান টেম্পুর কৃতিত্ব হয়তো বাংলাদেশের, মিনিট্রাক পরিবর্তিত করে গন মুরগির মত গন পরিবহন
মিশুক নামের এই যানটি ওঠানামায় কষ্টকর ও ঝাঁকুনির জন্য জনপ্রিয়তা পায়নি,
ভবিষ্যতে এই ঐতিহাসিক প্যাটেন্টেড সবুজ যানটি হয়তো হারিয়ে যাবে। কথিত ২০৪২ সালের পর বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্র বাংলাদেশ হয়ে গেলে সবাই হলুদ ক্যাব মার্সিডিজে চড়বে।
তখন টু-স্ট্রোক বেবিট্যাক্সির মত এই যাণটিও আমাদের নাতীপুতিরা নাও দেখতে পারে। তাই আমাদের প্রিয় গ্রীল গাড়িটার একটা ছবি দিয়ে রাখলাম।
মন্তব্যসমূহ