কিভাবে খালাতো বোনকে ভালবাসার কথা বলা যায়

কিভাবে খালাতো বোনকে ভালবাসার কথা বলা যায়

খালাতো মামাতো বোনদের ভালবাসা!


প্রথম কাজিন সবসময় রক্তের আত্মীয় হবে। এটির কারণ আপনার নিজ নিজ পিতামাতা ভাইবোন,তাই তারা যথেষ্ট পরিমাণে ডিএনএ ভাগ করে নেয়।

ছোটবেলায় একটা গান শুনতাম, গানটা এখন আর তেমন শুনি না। কিন্তু খালতো মামাতো ভাইবোনের সস্তা প্রেম ঠিকই আগের মত চলছে । গানটি হল "খালতো ভাই আর তালতো ভাই, আমার কোন দরকার নাই, মনের কথা বোঝার মত একটা মানুষ চাই"। সত্যিই মনের কথা বোঝাটাই আসল কথা।


খালতো, তালতো বোনকে ভালোবাসার কথা না বলে সরাসরি বিয়ের কথা বলাই শ্রেয়। প্রেম করার পর যদি বিয়ে না হয় , আত্মীয়তা যাবে। আত্মীয় হওয়ার দরুন বিভিন্ন পারিবারিক অনুষ্ঠানে দেখা ও কুশল বিনিময় হবে , দুজনেই পারিবারিক ঝামেলায় পড়বেন, চাকরি, বাড়ী , ক্ষমতা নিয়ে বাঙ্গালির চিরন্তন দ্বন্দ্ব লেগেই থাকবে।


মুসলিম মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে প্রেমের গন্ডি খালতো, তালতো, পাড়াতো বোনের বাইরে যেতেই পারছে না।


নিজেও মধ্যবিত্ত, তাই পড়ালেখায় একটু ভালো-করা শুরু করতেই, খালতো, তালতো বোনেরা প্রেমের ঝাঁপি খুলে নিয়ে বসলো। কাকে বাদ দিয়ে কাকে খুশি করবো, না বুঝতেই অন্য সমস্যা শুরু হলো।

আমার দৃষ্টিতে তখন নিজের ক্যারিয়ার আর রেজাল্ট হলেও তাদের দৃষ্টিতে অন্য কিছু , যেমন সমাজ বানিয়ে রেখেছে। আমি হয়ত ভাবছি বিদেশ গিয়ে কোন পিএইচডি করার ইচ্ছা, বা গবেষক হওয়ার, ইত্যাদি। তাই নিরব ছিলাম।


কিন্তু পড়ালেখা ( গ্রাজুয়েশন) শেষ করার আগেই উক্ত বোনের পিতামাতারা অর্থাৎ খালা, ফুফুরা আবার বিয়ের প্রস্তাব পারতে লাগলো।

বড় ভাইয়ের সংসারে থাকা, পর নির্ভরশীল যুবককে বিয়ে করিয়ে তার ক্যারিয়ার ধ্বংস ব্যাতীত আর মহান কোনো কাজ মধ্যবিত্ত আত্মীয়রা করতে সক্ষম ছিলো না।


এই শ্রেণির আত্নীয়স্বজনের না আছে কোন বিজনেস আইডিয়া, না আছে কাউকে ক্যারিয়ারের শিখরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়ার। আত্মীয়ের ভেতরে প্রেম , বিয়ে শাদী, যৌতূক, ঘুষের টাকায় ফ্ল্যাট, বাড়ী, হেনতেন ইত্যাদি আগ্রহের বিষয়। কোনরকম একটা চাকরী আর সংসার করতে পারলে জীবন ধন্য হয়ে যায় এদের।

তখন নিজের শ্রেণিটাকেই গালি দিতাম। কিন্তু আজো দেখছি, সেই শ্রেনীটার প্রেমের গন্ডী খুব একটা বড় হয়নি।


কর্মজীবনে যোগ দিয়ে, সম যোগ্যতার, সম মানসিকতার কাউকে ভালোবাসার, বিয়ে করার সুযোগ সংকুচিত হচ্ছে দিন দিন।


যাহোক, রানী ভিক্টোরিয়া, চার্লস ডারউইন, আলবার্ট আইনস্টাইন সকলেই তাদের কাজিনের সাথে বিবাহে জড়িয়েছিলেন। হয়তো আপনাদের মনে হতে পারে এদের মতো লোকে যদি এ কাজ করতে পারেন তবে আমরা করলে কী সমস্যা? আবার ডাবল ফার্স্ট কাজিন বিয়ে, সেতো আরো বিপদ।



খালাতো বোন বা কাজিন কি


আপনি এবং আপনার কাজিন আপনাদের কল্পনাকে একত্রিত করে আশ্চর্যজনক কিছু তৈরি করতে পারেন। সেজন্য তাদের সাথে ঈর্ষা নয় বরং খেলার ও সহযোগিতার পরিবেশ রাখুন।

আপনার খালা বা চাচার ছেলে মেয়েকে আপনার চাচাতো ভাই বোন বা কাজিন বলা হয়। ফার্স্ট কাজিন আপন মামা/খালা/চাচা/ফুফুর ছেলে/মেয়ে।

সেকেন্ড কাজিন বাবা-মার মামাতো/ ফুফাতো/চাচাতো/খালাতো ভাই/বোনের ছেলে/মেয়ে। দূরের আত্মীয়ের যেকোনো সন্তানকে বোঝাতে কাজিন বা চাচাতো ভাইও ব্যবহার করা যেতে পারে, সেটা ফার্স্ট সেকেন্ড যা হোক। আমার মায়ের দিকে আমার পাঁচজন কাজিন এবং তিনজন আমার বাবার দিকে আছে। তাহলে আমার ৮ জন কাজিন হয়।

ফার্স্ট কাজিন কে? সেকি কি পরিবারের কাছাকাছি?

আপনি ঠিক কিভাবে কারো সাথে সম্পর্কিত তা জানা সবসময় মজাদার। কাজিন হল এমন মানুষ যাদের একজন সাধারণ পূর্বপুরুষ আছে যা কমপক্ষে ২ প্রজন্ম আগের।


প্রযুক্তিগত দিক থেকে আপন চাচাত বা খালাতো, মামাতো, ফুফাতো ভাইবোন কে ফার্স্ট কাজিন বলা হয়। অবশ্যই ঘনিষ্ঠ পরিবারের সদস্য হিসাবে তাদের বিবেচনা করা হয়।


তারা আমাদের বাবা-মায়ের ভাইবোনের সন্তান তাই আমরা তাদের মধ্যে অন্তত কিছু সম্পর্কে জানতে পারব। যদিও কখনো আমাদের প্রথম কাজিনদের সাথে যোগাযোগ নাও থাকতে পারে। প্রথম কাজিন সম্পর্কটি যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ যে এটি কখনও কখনও উত্তরাধিকার ও আইনি পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বিবেচনা করার মতো কিছু।



নিজ পিতামাতা ব্যতিত আপনার দাদা দাদি বা নানা নানীর অন্য যেকোনো সন্তানের সন্তান আপনার প্রথম কাজিন।

ইংল্যান্ডের রানী ভিক্টোরিয়া এবং তার স্বামী আলবার্ট ছিলেন প্রথম চাচাতো ভাই। ঐতিহাসিকভাবে, প্রথম কাজিনদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ রক্তের সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও, তাদের মধ্যে বিবাহ হওয়া অস্বাভাবিক ছিল না।


এটি সবসময় একটি ভাল জিনিস না এবং আধুনিক দিনের বিবাহ আইনের পরিপ্রেক্ষিতে, অনেক দেশ প্রথম কাজিনদের বিয়ে করার অনুমতি দেওয়া উচিত কিনা তা নিয়ে কিছুটা বিভক্ত।

রানী ভিক্টোরিয়া ছিলেন হিমোফিলিয়া জিনের বাহক। রাণী ভিক্টোরিয়া, ফ্যাক্টর IX অভাবের একজন পরিচিত বাহক, যাকে হিমোফিলিয়া বি ও বলা হয়। প্রকৃতপক্ষে, রানী ভিক্টোরিয়ার নয়টি সন্তান ছিল, যার মধ্যে দুটি বাহক (এলিস এবং বিট্রিস) এবং তার পুত্র সন্তান লিওপোল্ডের ছিল হিমোফিলিয়া রোগ। আর রাজকন্যা অ্যালিস ও বেয়াত্রিস এরা ছিলেন বাহক। এটি রক্তক্ষরণ রোগ যা পরবর্তীতে বংশ পরম্পরায় চলতে থাকে।


লিওপোল্ডের মা তাকে নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় থাকতেন এবং তাকে খুব সুরক্ষিত রাখতেন। তারপরও খেলতে গিয়ে মাথায় সামান্য আঘাতে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে ছেলেটি মারা গিয়েছিল।

রানী ভিক্টোরিয়ার কন্যাদের মাধ্যমে তাদের কিছু সন্তানের কাছে হিমোফিলিয়া জিন চলে গিয়েছিল এবং এই অবস্থাটি "রাজকীয় রোগ" ডাকনাম অর্জন করেছিল কারণ ভিক্টোরিয়ার ২৬ জন প্রাপ্তবয়স্ক নাতি-নাতনিদের মধ্যে অনেকগুলি বাহক ছিল যারা স্পেন, জার্মানি এবং রাশিয়ার রাজকীয় পরিবারে বিয়ে করেছিল ও সেসব রাজবংশ যথেষ্ট ভুগেছিল। যেমন রাশিয়ার জার দ্বিতীয় নিকোলাস একমাত্র সন্তানের হিমোফিলিয়া নিয়ে এতোটাই ব্যস্ত থাকতেন, যে বলশেভিক বিপ্লবীরা অতি সহজে রাজার বিরুদ্ধে জয়ী হতে পেরেছিল।


উদাহরণস্বরূপ যদি আমাদের পিতামাতার প্রত্যেকের নয়টি ভাইবোন থাকে যার অর্থ আমাদের ১৮ জন খালা বা চাচা ছিল এবং তাদের প্রত্যেকের ১০টি সন্তান ছিল, তাহলে আমাদের ১৮০ জন প্রথম কাজিন থাকতে পারে।


হিমোফিলিয়া, বেদনাদায়ক বংশগত রোগ কী ⁉️👉


আপনি জেনেটিক্যালি কাজিনদের সাথে সম্পর্কিত কিনা?


প্রথম কাজিনদের ডিএনএর ১২.৫% গড়ে একই; বা ৮৬৬ সেন্টিমরগান। এই শতাংশ জিনগত পুনর্মিলনের ফলাফল ঘটে যখন বাবা-মা প্রত্যেকে তাদের ডিএনএর ৫০% তাদের সন্তানদের কাছে দেয়।

আপনি যদি বংশপরিচয় এবং পারিবারিক ইতিহাস ভালবাসেন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই পূর্বপুরুষদের জানতে হবে। ফার্স্ট কাজিনরা দুর্দান্ত উষ্ণ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ হতে পারে। আপনার যদি একটি ঘনিষ্ঠ পরিবার থেকে থাকে তবে আপনি সম্ভবত আপনার কোনো খালা এবং চাচাকে জানেন।


প্রথম কাজিনরা খুব সহজভাবে সেই খালা এবং মামাদের সন্তান। তারা সাধারণত পূর্ণ রক্তের আত্মীয় নয় কারণ তাদের পিতামাতার একজন আপনার নিকটবর্তী পরিবারের অংশ নয়। সেখানেই বৈচিত্র থাকে, আর সেটাই কাজিন বোনদের প্রতি আকর্ষণ এর কারণ।

আমরা যদি বংশধরদের লাইনটি আরও ট্র্যাক করি তবে আমরা দেখতে পাব যে আমাদের এবং প্রথম চাচাতো ভাইয়ের সন্তানরা দ্বিতীয় কাজিন হবে। উপরের দৃষ্টান্তটি ইঙ্গিত করে, আপনার পিতামাতার প্রথম কাজিনের সন্তানরা আপনার দ্বিতীয় কাজিন হবে।

এই প্রবণতা তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম কাজিন এবং তার পরেও লাইনের নিচে নিয়ে যায়। চাচাতো ভাইয়ের সংখ্যা যত বেশি হবে আপনি আপনার সাধারণ দাদা-দাদিদের থেকে দূরে থাকবেন।

মামাতো বোনের সাথে প্রেম!

আপনার মামার মেয়েটি মূলত আপনার মামাতো বোন এবং তার সাথে অল্প হলেও রক্তের দ্বারা সংযুক্ত। আসলে এই ধরনের সম্পর্কের মধ্যে কোন সমস্যা নেই।

মামার মেয়েকে বিয়ে করার প্রথা অনেক সম্প্রদায়ের মধ্যে অনুসরণ করা হয়। সমস্যা দেখা দেয় যদি একটি সম্প্রদায়ের মানুষ রক্তের সম্পর্কের মধ্যে বারবার বিয়ে করতে থাকে। দায়িত্বশীল হোন এবং আপনার পরিবারের ও ধর্মের অনুভূতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।

প্রথম কাজিন কি রক্তের আত্মীয়?


কাজিনরা আপনার স্কুল বা অফিসে ভালো বন্ধুর মতো, পার্থক্য শুধু এই যে আপনি একই রক্তের ভাগীদার হন। যার মানে হল, আপনি এবং আপনার কাজিন যতই আলাদা হোন না কেন, আপনার কাছে সবসময় এমন কিছু থাকে যা আপনাদেরকে একত্র করে।

এই প্রশ্নের উত্তর হল যতক্ষণ পর্যন্ত কাজিন বা তাকে দত্তক না নেওয়া হয় বা আপনার সাথে সংযোগকারী পিতামাতার সন্তান না হয়, হ্যাঁ, প্রথম কাজিন সবসময় রক্তের আত্মীয় হবে। এটির কারণ আপনার নিজ নিজ পিতামাতা ভাইবোন তাই তারা যথেষ্ট পরিমাণে ডিএনএ ভাগ করে নেয়।



কাজিন ও বংশগত রোগ


প্রথম চাচাতো ভাই-বোনদের মধ্যে বিয়ে গুরুতর জন্মগত ত্রুটি, মানসিক প্রতিবন্ধকতা বা জেনেটিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা বেশি নয় তবে বারবার তাদের মধ্যে বিয়ে, বর্ধিত ঝুঁকির কারণ, বিজ্ঞানীরা বলছেন।

ফার্স্ট কাজিনদের (সরাসরি খালাতো, মামাতো, চাচাতো বা ফুফাতো ভাইবোন) মধ্যে জিনগত মিল প্রায় সাড়ে ১২ শতাংশ, অর্থাৎ তারা বংশপরম্পরায় একই জিন বহন করে চলেছেন।

যেসব রোগ তাদের বংশে রয়েছে, সেসব তাদের সন্তানদের মধ্যে আরো প্রকটভাবে দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিশেষ করে অটোসোমাল রিসেসিভ কিছু রোগ (যেমন, থ্যালাসেমিয়া, সিকল সেল অ্যানিমিয়া, সিস্টিক ফাইব্রোসিস) পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে তীব্রতর হয়ে দেখা দিতে পারে। অর্থাৎ এমন কাজিনের মধ্যে বিবাহের ফলে প্রতি চারটি সন্তানের মধ্যে একটি সন্তানের প্রবল শারিরীক সমস্যা হতে পারে।

নিজ বংশ এবং নিজ গোত্রে বিয়ের ফলে থ্যালাসেমিয়া ও জিনগত রক্তরোগ

মধ্যপ্রাচ্যে একসময় এত প্রকট আকার ধারণ করেছিল যে, আরব সরকার বিয়ের আগে বর-কনের রক্ত পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করে দেয়।


তালতো ভাই মানে কি

তালতো ভাই বোনের সাথে কেমন আচরন করা উচিত? শান্ত এবং দয়ালু হন। তার সাথে তর্ক করবেন না বা তার প্রতি আপনার অপছন্দ প্রকাশ করবেন না। সে যে হোক তাকে তার জন্য গ্রহণ করুন। এবং মনে রাখবেন যে সে আপনার জীবনের বাকি অংশ হবে এবং তাই একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সর্বোত্তম হবে।


তালুই-মশাই এবং মাউই-মা বলা হয় নিজের ভাই/বোন/দাদা/দিদির শ্বশুর-শাশুড়িকে। তাই তালুই-মশাইয়ের ছেলে-মেয়ে হল তালাতো ভাই-বোন। ইংরেজিতে এই সম্পর্কের সরাসরি নাম নেই।

আমার ভাইয়ের বউয়ের বোন কে কি বলে ডাকবো?

আমি কি আমার তালতো বোনের সাথে ডেট করতে পারবো? সাধারণভাবে, আপনার ভাবীর বোনের সাথে ডেট করতে কোন আইনি বা নৈতিক বাধা নেই, যতক্ষণ না উভয় পক্ষই প্রাপ্তবয়স্কদের সম্মতি দিচ্ছে এবং কোনো পারিবারিক বা সাংস্কৃতিক নিয়ম লঙ্ঘন করছে না। যাইহোক, সেটা বিবেচনা করার জন্য সামাজিক বা পারিবারিক প্রভাব থাকতে পারে।


ডেট ও ডেটিং এর মানে কি প্রেম?


আপনার ভাইয়ের শালী , বা আপনার ভাবীর বোন আপনার তালতো বোন। ইংরেজিতে আপনার এবং তার মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক নেই। স্পষ্ট করার জন্য তারা একটা sister in law ও brother in law বলে, এটাকে আমার ভাইয়ের স্ত্রীর বোন বলব। আমার ভাবীর বোন শব্দটিও একই কাজ করে সেখানে।

ডাবল ফার্স্ট কাজিন কি?


তালতো ভাইবোনের মাঝে বিয়ে হলে, তাদের ছেলে মেয়েরা আপন ভাইভাবীর ছেলেমেয়েদের জন্য ডাবল ফার্স্ট কাজিন। ডাবল ফার্স্ট কাজিনদের মাঝে বিয়েতে সন্তানদের জেনেটিক রোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

খুব সহজভাবে যখন এক পরিবারের ভাইবোনরা অন্য পরিবারের ভাইবোনদের বিয়ে করে তখন সেই বিবাহের সন্তানদের ডবল ফার্স্ট কাজিন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। দাদা-দাদির একটি সেট ভাগ করার পরিবর্তে, তারা প্রকৃতপক্ষে দুটি ভাগ করে।

এর মানে ডাবল ফার্স্ট কাজিন ফার্স্ট কাজিনদের স্ট্যান্ডার্ড সেটের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ ডিএনএ ভাগ করতে পারে। আসলে, রক্তের সম্পর্ক অর্ধ-ভাই-বোনের মতোই ঘনিষ্ঠ, চাচাতো ভাই-বোনের।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভাইবোনদের মধ্যে বিবাহ সম্পূর্ণ অবৈধ হওয়ায় এটি বোধগম্য যে এই প্রয়োজনীয়তা সব উন্নত দেশে থাকবে।

এ ছাড়াও ডাউনস সিনড্রোম, গর্ভপাত বা নবজাতক মৃত্যুর হার অন্যদের তুলনায় সামান্য হলেও বেশি।


ডাবল কাজিন হল প্রথম কাজিন, কিন্তু দুইগুণ। তারা দাদা-দাদির উভয় সেট ভাগ করে নেয়।


সামাজিক প্রেক্ষাপটে ব্যাপারটা যদি দেখি, শহর এলাকায় ছেলে-মেয়েদের একত্রে মেলামেশার সুযোগ থাকলেও গ্রামাঞ্চলে সে সুযোগ নেই বললেই চলে। সেজন্যেই গ্রামে যারা থাকেন তাদের অনেকের জীবনেই প্রথম প্রেম হয়ে আসে নিজের কোনো চাচাতো মামাতো কিংবা খালাতো ভাই-বোন। এটি স্বাভাবিকভাবেই বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ।

একটি co- sister বা সহ বোন বা পাড়াতো বোন কি?

পাড়াতো বা সহ-বোন হল সহকর্মী (একই চাকরি , পেশা বা সমাজে কিংবা পাড়ার "বোন") এর উদ্ধৃতি।


সেকেন্ড কাজিন কি

যদি চাচাতো ভাইবোনদের সন্তান থাকে, তবে শিশুরা একে অপরের দ্বিতীয় কাজিন হয়।


দ্বিতীয় কাজিন হল এমন একজন যিনি আপনার দাদা-দাদির পিতা বা মাতার পক্ষের বংশ শেয়ার করেন।


যদি প্রথম কাজিনের সন্তান থাকে, তবে শিশুরা একে অপরের দ্বিতীয় কাজিন হয়। তারা একই প্রজন্মের কারণ তারা দাদা-দাদীর একটি সেট ভাগ করে নেয়। যদি দ্বিতীয় চাচাত ভাইয়ের সন্তান থাকে তবে শিশুরা একে অপরের তৃতীয় চাচাত ভাই। তারা একই প্রজন্মের কারণ তারা মহান-দাদা-দাদীর একটি সেট ভাগ করে নেয়।



আত্মীয়ের মধ্যে বিয়ের সুবিধা


পাত্র পাত্রী পরস্পরকে চিনে, জানে, এটাই সবচেয়ে বড় সুবিধা! যেখানে অপরিচিত কাউকে বিয়ে করা লটারীর মতো!!

আত্মীয়ের মধ্যে বিয়ে নিয়ে নানা মতবাদ আছে। কেউ মনে করেন একই পরিবেশ ও সংস্কৃতিতে বেড়ে ওঠা আত্মীয় দুটি ছেলেমেয়ের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো হবে। অনেক পরিবারে বা গোত্রে মনে করা হয় এতে করে পরিবারের সম্পত্তি ও ব্যবসা-বাণিজ্য পরিবারের মধ্যেই থাকবে।

আমি বলছি বলেই খালতো বোনের সাথে প্রেম বা বিয়ে করা ত বন্ধ থাকবে না। নিচের ছবিটিতে দেখে নিন যথাযথ স্ক্রিনিং করে জ্ঞাতি বোনেদের বিয়ে করেছেন যেসব ক্রিকেটাররা।


বিয়েতে💑 স্ক্রিনিং টেস্ট কীভাবে করে⁉️👉


তবে একজন হিতাকাংখি হিসেবে বলব, পরিবারের মধ্যে প্রেম বা বিয়ে ঠিক করার আগে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে জেনেটিক কোন রোগ আছে কিনা দেখে নেওয়া উচিত। অনেক দেশে কাজিন ম্যারেজের আগে বিবাহপূর্ব কাউন্সেলিং ও স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা আছে যা আমাদের দেশে তেমন প্রচলিত নই। নতুন প্রজন্ম অবশ্যই সচেতন হবে আশা করি।

মন্তব্যসমূহ