সিজোফ্রেনিয়া
সিজোফ্রেনিয়া হল মানব মনের জটিলতম ও ভয়াবহতম মানসিক ব্যাধি। চিন্তাধারা এবং অনুভূতি প্রকাশের মধ্যে সঙ্গতি না থাকা এই রোগের প্রধান লক্ষণ।
"স্কিৎজোফ্রেনিয়া" শব্দটির উৎপত্তি গ্রিক শব্দমূল "Skhizein " - যার অর্থ হল to Split বা বিভক্ত করা এবং "phrenos" যার অর্থ হল mind বা মন থেকে।
অর্থাৎ মনের বিভক্তিকরণে সৃষ্ট মানসিক ব্যাধিই হল "সিজোফ্রেনিয়া"।
এই অদ্ভুত রোগে রোগাক্রান্তের পরিবার এবং পরিচিতরা সমস্যায় পড়ে যান রোগীর অদ্ভুত আচরণ দেখে। তাদের সাথে মানিয়ে চলাও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
এই রোগকে অনেক সময় মানসিক রোগের ক্যানসার হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।
সত্যিকথা হল, মানসিক রোগের চিকিৎসা শুরু হয় একেবারে শেষ মুহূর্তে। তখন পরিস্থিতি প্রায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
সিজোফ্রেনিয়ার খুব প্রাথমিক লক্ষণ
এই সিজোফ্রেনিয়া লক্ষণগুলি সাধারণত কিশোর এবং অল্প বয়স্কদের মধ্যে দেখা যায়।
সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালীন আচরণের কারণে, এই বয়সে প্রথম দিকের লক্ষণগুলি অলক্ষিত হতে পারে।
নিম্নলিখিত প্রাথমিক লক্ষণগুলি ঘটতে পারে:
- বন্ধুবান্ধব ও পরিবারকে পেছনে ফেলে দেয়
- হঠাৎ সামাজিক গ্রুপ বা বন্ধু পরিবর্তন
- একাগ্রতা এবং ফোকাস পরিবর্তন
- ঘুমের সমস্যা
- উত্তেজনা এবং বিরক্তি
- খারাপ একাডেমিক পারফরম্যান্স, স্কুলের কাজে অসুবিধার কারণে
সিজোফ্রেনিয়া রোগের প্রধান লক্ষণগুলি মূলত ৩ ভাবে প্রকাশ পায়—
- চিন্তার মধ্যে অসংলগ্নতা:—
- মনে অযথা সন্দেহ:কোনও কারণে সন্দেহ হতেই পারে। কিন্তু এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া মানুষকেও সন্দেহ করতে থাকেন। তারা ভাবতে থাকেন সবাই তাকে নিয়ে মজা করছে, সমালোচনা করছে কিংবা বিশেষ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
- ভুল জিনিসে দৃঢ় বিশ্বাস: স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি অহেতুক এবং অবাস্তব জিনিসকে সত্য ভাবতে থাকেন। যেমন, সবাই তার ক্ষতি করছে, খাবারে বিষ মেশানো রয়েছে, তিনি না বললেও কেউ তার মনের গোপন কথা জেনে যাচ্ছে ইত্যাদি।
- আচরনগত সমস্যা:-
- হঠাৎ করেই জোরে হেঁসে ওঠা, আবার কোনও কারণ ছাড়াই কেঁদে ফেলা।
- হঠাৎ করেই খুব বেশি রেগে যাওয়া বা উত্তেজিত হয়ে ওঠা।
- মানুষের সঙ্গ একেবারেই মিশতে না চাওয়া
- কোনও কারণ ছাড়াই আত্মহত্যার চেষ্টা করা।
- কোনও কারণ ছাড়াই এক জায়গায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাড়িয়ে থাকা।
- আগে একেবারেই যা করতেন না, সে ধরনের আচরণ করতে থাকা
- জনসমক্ষে গায়ের কাপড় খুলে ফেলার চেষ্টা করা।
- অনুভূতি বিষয়ক সমস্যা:-
- কেউ তার সঙ্গে কথা না বললেও, মনে হতে পারে কেউ যেন তার সঙ্গেই কথা-বার্তা বলছে। সিজফ্রেনিয়ার রোগীরা এ ভাবেই পশুপাখির ডাকও শুনতে পান।
- গায়ে পোকামাকড়ের হাঁটার অনুভূতি হয়।
- বিশেষ কোনও কিছুর গন্ধ পেতে থাকা, যদিও সেই গন্ধ অন্যেরা কেউই পাচ্ছেন না।
উপরে উল্লেখিত লক্ষণগুলি যদি কারও মধ্যে ৬ মাসের বেশি সময় দেখতে পাওয়া যায় তাহলে তিনি স্কিৎজোফ্রেনিয়ার আক্রান্ত হতে পারেন। তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ এবং আপনজনের সান্নিধ্যে রোগী অনেক ক্ষেত্রেই সুস্থ হয়ে যান।
সিজোফ্রেনিয়ার উপসর্গসমুহ
প্রধান ৫টি লক্ষণ কী কী?
সিজোফ্রেনিয়ার প্রধান পাঁচটি উপসর্গ :
১, বিভ্রম,উদাহরণস্বরূপ, তারা বিশ্বাস করতে পারে যে পরিবারের একজন সদস্য তাদের বিষ দেওয়ার চেষ্টা করছে।
২, হ্যালুসিনেশন,যেমন শোনার শব্দ, যেমন গান, পায়ের শব্দ, জানালা বা দরজা ধাক্কা।
৩, অসংগঠিত কথাবার্তা,যেমন কথোপকথনের সময় বিভ্রান্ত হওয়া এবং বিষয় পরিবর্তন করা। অযৌক্তিক উপায়ে একসাথে শব্দ ব্যবহার করা
৪, অসংগঠিত আচরণ উদাহরণ স্বরূপ, কখনও কখনও তারা এমন প্রভাব প্রদর্শন করে যা পরিস্থিতির জন্য অনুপযুক্ত, যেমন দুঃখজনক কিছুতে হাসি। এবং
৫, তথাকথিত "নেতিবাচক" লক্ষণ যেমন নিজেদের এবং তাদের প্রয়োজনের দেখাশোনা করতে চায় না, যেমন ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে যত্ন না নেওয়া।
যাইহোক, সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণগুলি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়, প্যাটার্ন এবং তীব্রতা উভয় ক্ষেত্রেই স্কিৎজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত রোগীদের বেশ কয়েকটা উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
তাদের চিন্তা, কাজ, ব্যবহার ও ব্যক্তিত্বে পরিবর্তন আসতে পারে এবং তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম ব্যবহার করতে পারেন।
যখন এই রোগটি প্রথম প্রথম শুরু হয়, তখন লক্ষনগুলি আকস্মিকভাবে দেখা দেয় এবং গুরুতর হয়।
স্কিৎজোফ্রেনিয়ার সাধারণ উপসর্গগুলোকে তিনটি বিভাগে ভাগ করা হয় –
- পজিটিভ উপসর্গ,
- কগনিটিভ/জ্ঞানীয় উপসর্গ এবং
- নেগেটিভ উপসর্গ।
সিজোফ্রেনিয়ার পজিটিভ উপসর্গ:
যখন লোকেরা উপসর্গ অনুভব করছে , তখন তাদের চিন্তাভাবনা বা আচরণ এমন অদ্ভুত হয় যে, তাঁদের সামান্য বা কোন অন্তর্দৃষ্টি থাকতে পারে।
অন্তর্দৃষ্টির অভাব Schizophrenia রুগীদের জন্য খুব বেশী হতাশাজনক এবং ভয়ঙ্কর করতে পারে।
এখানে পজিটিভ বলতে “ভালো” বোঝানো হচ্ছে না। বরং অতিরঞ্জিত চিন্তাভাবনা এবং ব্যবহার যেটা বিচারশক্তিহীন হয়ে যায় তা বোঝানো হয়।
এগুলোকে মাঝেমধ্যে সাইকোটিক উপসর্গও বলা হয়। পজিটিভ উপসর্গের কিছু পৃথক রূপ দেখা যায়। যেমন—
১, বিভ্রম বা delusions :
বিভ্রম হল স্থির মিথ্যা বিশ্বাস যা একজন ব্যক্তির সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে অর্থপূর্ণ নয়।
যদিও প্রত্যেকেরই সময়ে সময়ে বিকৃত বিশ্বাস রয়েছে, তবে মানসিক বিভ্রান্তিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিশ্চিত হতে পারে না যে তাদের বিশ্বাসগুলি বাস্তব নয়।
কিছু উদাহরণ – Delusion এ আক্রান্ত ব্যাক্তি বিশ্বাস করতে পারেন যে, অন্যান্য মানুষ তার চিন্তা শুনতে পারছে, অথবা মানুষ তার মাথায় ভুল চিন্তা-ভাবনা ঢোকাচ্ছে, অথবা মানুষ তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে।
বিভ্রম বা ডেলুশন এর কারণ কি⁉️
বিস্তারিত▶️
২, হ্যালুসিনেশন
- হ্যালুসিনেশন এ আক্রান্ত ব্যাক্তি অবাস্তব জিনিস অনুভব করেন এবং দেখতে পান। তারা বাস্তব না এমন জিনিস দেখতে শুরু করেন, শব্দ শুনতে পারেন, অদ্ভুত গন্ধ পান, অথবা শরীরে কোনো জিনিস লেগে না থাকলেও কিছু একটা শরীর স্পর্শ করছে এমন ভেবে বিরক্ত বোধ করেন।
- তাঁদের কেউ আলো, বস্তু, মানুষ, বা নিদর্শন দেখতে পারে। প্রায়শই এটি প্রিয়জন বা বন্ধুরা যারা আর বেঁচে নেই তাঁদের দেখতে পায়। তাদের গভীরতা উপলব্ধি এবং দূরত্ব নিয়েও সমস্যা হতে পারে।
হ্যালুসিনেশন কী, কাদের হয়⁉️বিস্তারিত ▶️
৩, অসংগঠিত কথাবার্তা
আলগা কথাবার্তা হিসাবেও পরিচিত। মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিশৃঙ্খল বক্তৃতায়, ভাষার স্বাভাবিক নিয়মের উপর ভিত্তি করে শব্দগুলিকে একত্রে যুক্ত করা হয় না কিন্তু শব্দ, ছড়া, শ্লেষ বা মুক্ত মেলামেশার উপর ভিত্তি করে একত্রিত হতে পারে।
যদিও প্রত্যেকেই বক্তৃতা ত্রুটি করে, বিশেষ করে যখন তারা ক্লান্ত বা চাপে থাকে, মানসিকভাবে বিশৃঙ্খল বক্তৃতা স্পষ্টতই অস্বাভাবিক এবং বোঝা কঠিন বা অসম্ভব হতে পারে।
- ডিসঅর্গানাইজড উপসর্গ হচ্ছে এক ধরণের পজিটিভ উপসর্গ যা আক্রান্ত ব্যাক্তির ঠিকভাবে চিন্তা করা এবং সাড়া দেয়ার অক্ষমতাকে প্রতিফলিত করে। যেমন—
কথায় আবোল-তাবোল শব্দ ব্যবহার করা এবং এমনভাবে বাক্য তৈরি করা, যেটা অন্যান্যরা ঠিকভাবে বুঝতে পারেন না। অর্থাৎ পরিষ্কার ভাবে কথা বলার বা বাক্য গঠনের অক্ষমতা।
*খুব দ্রুত চিন্তা বদলানো।
*সিদ্ধান্ত নিতে না পারা। কোনও বিষয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অক্ষমতা।
*অর্থহীন লেখা লিখে যাওয়া।
৪, অসংগঠিত আচরণ
মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিশৃঙ্খল আচরণ লক্ষ্য-নির্দেশিত নয় এবং প্রেক্ষাপটে অর্থপূর্ণ নয়। উদাহরণস্বরূপ, গোসল করার জন্য একজনের জামাকাপড় খুলে নেওয়া বুদ্ধিমান।
পাবলিক বাসে একজনের জামাকাপড় খুলে ফেলা অগোছালো আচরণের উদাহরণ।
অনুপযুক্ত সময়ে বা অকারণে হাসা একটি অগোছালো আচরণ। অদ্ভুত ভঙ্গি গ্রহণ করা বা হিমায়িত করা ক্যাটাটোনিক আচরণের উদাহরণ হতে পারে।
- দ্রুত ভুলে যাওয়া অথবা জিনিসপত্র হারানো। স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া বা সাময়িক স্মৃতি নষ্ট হওয়া।
- চলাফেরা অথবা অঙ্গভঙ্গির পুনরাবৃত্তি করা। বিভিন্ন অস্বাভাবিক অঙ্গভঙ্গী করা। চলাফেরার সময় সঠিক দিক নির্ণয়ে অক্ষমতা।
- দৈনন্দিন দৃষ্ট বস্তু, শব্দ এবং অনুভূতি ঠিক মতো বুঝতে না পারা।
সিজোফ্রেনিয়ার কগনিটিভ/জ্ঞানীয় উপসর্গ:
কগনিটিভ উপসর্গের কয়েকটা উদাহরণ হচ্ছে-
ঠিকমতো তথ্য বুঝে, চিন্তা করে কাজ করতে না পারা।
- মনোযোগ দিতে না পারা। মনঃসংযোগের অক্ষমতা।
- কোনো তথ্য মুখস্থ করার সাথে সাথে সেটা কোন কাজে ব্যবহার করতে না পারা।
- মনোযোগ বজায় রাখতে অসুবিধা - ফোকাসড মনোযোগ বজায় রাখতে অক্ষমতা সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদেরকে ফাঁকা বা "এর বাইরে" বলে মনে করে।
- মেমরির সমস্যা - সিজোফ্রেনিয়া প্রায়শই কার্যকরী মেমরিকে প্রভাবিত করে, যে ধরনের মেমরি আপনি সক্রিয় প্রক্রিয়াকরণের জন্য আপনার মাথায় রাখার জন্য ব্যবহার করেন, যেমন আপনি ডায়াল করতে চলেছেন এমন একটি ফোন নম্বরের সংখ্যা।
- জটিলতা পরিকল্পনা এবং কাঠামোগত কার্যকলাপ - কার্যনির্বাহী কার্যকারিতা হ্রাস দ্বারা সৃষ্ট। এক্সিকিউটিভ ফাংশন হল মানসিক প্রক্রিয়াগুলির একটি সেট যা আমাদেরকে একটি কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি সনাক্ত করতে এবং তারপর একটি সঠিক ক্রমে সেগুলি সম্পাদন করতে দেয়। এক্সিকিউটিভ ফাংশন আমাদের কিছু করার জন্য বিভ্রান্তির প্রতি আমাদের প্রতিক্রিয়া দমন করতে দেয়।
- অন্তর্দৃষ্টির অভাব - সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের একটি নির্দিষ্ট জ্ঞানীয় অন্ধ স্থান থাকে যা তাদের বুঝতে বাধা দেয় যে তারা অসুস্থ।
- এর মানে হল যে উপসর্গগুলি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রোগীকে চিকিত্সার রুটিন বজায় রাখতে সাহায্য করার জন্য প্রিয়জন এবং যত্নশীলদের যতটা সম্ভব সতর্ক থাকা উচিত।
সিজোফ্রেনিয়ার নেগেটিভ উপসর্গ
এখানে নেগেটিভ দ্বারা “খারাপ” বোঝানো হয় না। বরং আক্রান্ত ব্যক্তির সাধারণ কিছু ব্যবহারের অনুপস্থিতিকে বোঝানো হয়। নেগেটিভ উপসর্গের কয়েকটা উদাহরণ হল,
সিজফ্রেনিয়ার নেতিবাচক লক্ষণ
সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে উপস্থিত হওয়া এই লক্ষণগুলি ছাড়াও, আরও কিছু আছে যেগুলিকে নেতিবাচক উপসর্গ হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
এর মানে হল যে ব্যক্তিটি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলির অনুপস্থিতি বা হ্রাস অনুভব করছে যা প্রায়শই স্বাস্থ্যকর ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত থাকে৷
নেতিবাচক শব্দটি পরামর্শ দেয় যে কিছু মনে হয় যেন এটি ব্যক্তির দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা থেকে কেড়ে নেওয়া বা অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে৷ নেতিবাচক উপসর্গের উদাহরণগুলির মধ্যে এমন জিনিসগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে:
- ফ্ল্যাটেন্ড/নিস্তেজ ভাব
- উপভোগ করতে অক্ষম
- কথা হ্রাস করা
- উদ্যোগের অভাব
ভোঁতা অনুভূতি
নিস্তেজ ভাবযুক্ত ব্যক্তিদের আবেগহীন দেখায় বা তাদের আবেগ খুব সীমিত থাকে।
তারা সংবেদনশীল বা বিরক্তিকর পরিস্থিতি বা চিত্রগুলিতে সামান্য প্রতিক্রিয়া দেখায়।
আবেগের এই সীমিত অভিব্যক্তি অন্যদের কাছে উদ্বেগজনক হতে পারে, কারণ এটি অনুভব করতে পারে যে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি তাদের থেকে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে।
উপভোগ করতে অক্ষমতা
সিজোফ্রেনিয়ার অবস্থার সাথে কেউ এমন জিনিসগুলিতে আনন্দের অভাব প্রদর্শন করতে পারে যা তাদের আনন্দ আনত। এই পরিবর্তনটি তাদের আশেপাশের অন্যদের দ্বারা বেশ লক্ষণীয় হতে থাকে এবং এটি কেবল আগ্রহের পরিবর্তন নয়।
কম কথা
সিজোফ্রেনিয়ার একটি নেতিবাচক উপসর্গ এমন একজনকে জড়িত করতে পারে যারা তাদের আগের তুলনায় লক্ষণীয়ভাবে কম কথা বলে। কেউ আগের চেয়ে কম সাবলীলভাবে কথা বলে এই বিশেষ লক্ষণটিও লক্ষ্য করা যায়।
উদ্যোগের অভাব
কিছু করার ইচ্ছাশক্তি হারানো সিজোফ্রেনিয়ার একটি নেতিবাচক লক্ষণ।
মনে রাখবেন যে একটি নেতিবাচক উপসর্গ এমন একটি বৈশিষ্ট্যকে বোঝায় যা ব্যক্তির কাছ থেকে হ্রাস বা অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে বলে মনে হয়। অনুপ্রেরণা এবং উদ্যোগের ক্ষয়, যা অ্যাভোলিশন নামেও পরিচিত, একটি সাধারণ নেতিবাচক উপসর্গ।
আবেগের অনুপস্থিতি অথবা খুব সীমিত পরিসীমার আবেগ।
- পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের সাথে না মেশা এবং সামাজিক ক্রিয়াকালাপে অংশগ্রহণ না করা।
- শক্তি হ্রাস পাওয়া। সব সময় ক্লান্তি অনুভব করা।
- কথাবার্তা কমে যাওয়া। বাইরের জগতের সাথে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া।
- অনুপ্রেরণার অভাব।
- জীবনের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া।
- শরীরের যত্ন না নেওয়া।
সিজোফ্রেনিয়ার কারনসমুহ কি ⁉️➡️
সিজোফ্রেনিয়ার চিকিৎসা
এই রোগ এর চিকিৎসার লক্ষ্য হচ্ছে উপসর্গ এবং নতুন সাইকোটিক এপিসোডের সম্ভাবনা কমানো। স্কিৎজোফ্রেনিয়ার চিকিৎসা হিসেবে নিচের পদক্ষেপগুলো নেয়া হতে পারে:
মন্তব্যসমূহ