ডাক্তার হওয়ার সুবিধা অসুবিধা
ডাক্তার হওয়ার সাধারণ সুবিধা সমূহ
১, কেউ যদি শিখতে ভালোবাসেন, তাহলে ডাক্তারি হল সেরা ক্ষেত্রগুলির মধ্যে একটি যা তিনি অনুসরণ করতে পারেন।
২, কিছু রোগী আমার দ্বারাও ভালো হয় যা আনন্দদায়ক।
৩, আমি যদি মনে করি জিপি বা সাধারণ চিকিত্সক হওয়া এটি আমার জন্য নয়, আমার যোগ্যতা অনুযায়ী বিভিন্ন ক্ষেত্রে চেষ্টা করতে পারি। যেমন জনস্বাস্থ্য, ক্লিনিকাল গবেষণা, পাবলিক পলিসি কিংবা ব্যবসা ইত্যাদি।
ডাক্তার হওয়ার সাধারণ অসুবিধা সমূহ
১, অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা:- অনেক ডাক্তারই ক্লাসে পৌঁছানোর জন্য সকালের নাস্তা বাদ দেন, পড়ার চাপে দেরিতে ঘুমাতে যান , দেরিতে ঘুম থেকে ওঠেন এবং খাওয়ার জন্য ঘুপচি হোটেলই ভরসা।
২, দীর্ঘ পথ
এমবিবিএস কোর্সটি নিজেই ৫ বছর দীর্ঘ, একবছর ইন্টার্ন শিপ এবং যদি পিজি কোর্স যোগ করেন ও প্রস্তুতির জন্য বছর ড্রপ করেন , একজন ভাল যোগ্যতাসম্পন্ন ডাক্তার হওয়ার গড় সময় প্রায় ১০ বছর।
৩, উদ্বেগ :-
এখানে সবাই মেধাবী কিন্তু আপনার চেয়ে ও বেশি বুদ্ধিমান ও মেধাবী কেউ সবসময় সামনে থাকে। তাই প্রথম হতে চাইলে ভীষণ মানসিক উদ্বেগের সমস্যা হতে পারে।
৪, কিছু বিষাক্ত শিক্ষক:-
প্রতি বছর এমবিবিএস-এ একজন বা দুজন অত্যন্ত বিষাক্ত প্রফেসর থাকে যারা শিক্ষার্থীদের জীবনকে নরক করে তোলে। তারা রুগীদের সামনে কথাই কথাই তিরস্কার করে ও পরীক্ষায় ফেল করানোর হুমকি দেয়। আপনার আত্মবিশ্বাস এবং আত্মসম্মান ভেঙে দেয় এবং আপনি তাদের সামনে অসহায় বোধ করেন।
৫, একাডেমিক চাপ:-
সিলেবাস সত্যিই বিশাল। যিনি যথেষ্ট বেশি পড়াশোনা করেছেন তিনিও ভাইভাতে সহজ প্রশ্নেও আত্মবিশ্বাসী বোধ করেন না।
৬, সীমিত সামাজিক জীবন:-
ভাল সামাজিক জীবন , অনেক বন্ধু থাকবেন, প্রাক্তন সমবয়সীদের সাথে ধীরে ধীরে দূরে চলে যাবেন। মাত্র ২-৩ জন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাথে সীমাবদ্ধ থাকবে। সাথে অনেক বিষাক্ত বন্ধু পাবেন।
৭, বিভিন্ন সংক্রমণের সংস্পর্শে:-
অনেক সংক্রমণের আধার হতে পারেন যখন সেগুলো হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যান। আপনি আপনার প্রিয়জনকে সংক্রমণ (এখন কোভিড) দিতে পারেন। প্রতি বছর, কয়েকজন শিক্ষার্থী রোগীদের থেকে টিবি সংক্রমণে আক্রান্ত হয়।
৮, আর্থিক নির্ভরতা:-
অর্থের জন্য পিতামাতার উপর নির্ভরশীল হবেন। পরিশ্রম করেও প্রথম দিকে বেতন খুব একটা পাওয়া যায় না। ভাল বেতন পেতে জীবনে অনেক সময় লাগতে পারে।
৯,অত্যধিক কাজের চাপ:-
ইন্টার্নশিপ এবং পোস্ট-গ্র্যাজুয়েশনের সময় ২৪-৪৮ ঘন্টা কাজের শিফট আছে যা বেশ ক্লান্তিকর। যেসব হাসপাতালে ডাক্তার কম তাদের বাড়তি ডিউটি করতে হয় কোন ওভারটাইম ছাড়া। শুক্রুবার ইমারজানসি ও শনিবার নিয়মিত দায়িত্ব আছে।
১০, ডাক্তারদের বিরুদ্ধে সহিংসতা: -
আমার এই বিষয়টিতে জোর দেওয়ার দরকার নেই। ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান হিংসার কথা আপনারা অনেকেই জানেন।
১১, ফ্রি চিকিৎসা :-
দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করা উচিত।…..সেটা মানি । কিন্তু প্রায় সবাই সেই সুবিধা চায়।
ডাক্তারদের আর্থিক নিরাপত্তা এবং সম্মানের প্রয়োজন ( ডাক্তারদের ও বাবা-মাকে লালন-পালন করতে হয় এবং ছোট ভাইবোনদের দায়িত্ব নিতে হয় ) কিন্তু রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ না চাইলেও নির্ধারিত চার্জটুকু অনেকেই দেয়না।
- মেডিকেল কলেজে পড়তে যথেষ্ট ঋণ হতে পারে।
- মেডিকেলে উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হতে যথেষ্ট আর্থিক বিনিয়োগ লাগে।
- তাঁকে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা দাড়িয়ে কাজ করতে হতে পারে।
- ডাক্তার সংঙ্কটের জায়গায় লম্বা শিফটিং ডিউটি করতে হয়।
- আবার প্রতিষ্টানের নিয়ম এবং প্রবিধান হতাশাজনক হতে পারে।
- আজকাল রোগীর মৃত্যু কে কেন্দ্র করে, একশ্রেণীর মানুষের চাপ, বিচারের মুখোমুখি হওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে।
ব্যক্তি হিসেবে ডাক্তার হওয়ার সুবিধা অসুবিধা গুলো
যথেষ্ট পড়ালেখা করে ডাক্তার হতে হয়। সেজন্য বিকেলে খেলার সময়টুকু ও ডেটিং বিসর্জন দিয়ে পড়তে হয়েছিল। সাদামাটা বা গড়পড়তা পড়ালেখায় নিশ্চিতভাবে ডাক্তারিতে (সরকারি মেডিকেলে) সুযোগ পাওয়া যাবেনা। সেজন্য বাড়তি পড়ার তাড়া থাকে।
বিসিএস পাশ করে যখন মফস্বলে গেলাম চাকরি করতে ভাবতাম লোকে আমায় খুব পছন্দ করে। কারন চেম্বারে প্রায় ফ্রি তে রুগী দেখতাম এবং উপরন্তু অন্যান্য উপকারও করতাম, যেমন বাসায় গিয়ে ড্রেসিং করা । মাঘের শীতে মাঝরাত্তিরেও বিনা ফী তে সত্যায়িতকরণ , চিকিৎসা করতে দূরে যেতে হতো রিস্ক নিয়ে, ভিআইপি নামক রাজনৈতিক ও পুলিশের লোকদের জন্য।
একদিন বাজারে জনৈক ফরেস্ট অফিসারসহ মুরগি কিনতে গিয়ে দেখি , মুরগিওয়ালা আমার চেয়ে অর্ধেক দামে ফরেস্টার এর কাছে মুরগি বিক্রি করছে। অথচ ওই মুরগিওয়ালার ছোট ছেলে মেয়েদের চেম্বারে প্রায় ফ্রিতে সেবা দিই আমি। সেদিন একটু ধাক্কা খেলাম । কারন রুগী গরিব, এই তুরূপের কার্ড দিয়ে ডাক্তারের ফী ফাঁকি দেয়া যায় কিন্তু ফরেস্ট এলাকায় ফরেস্টার কে ক্ষেপিয়ে ব্যবসা করা যায় না।
নিজ অভিজ্ঞতায় দেখেছি স্বাস্থ্য বিভাগে একজন অফিসের কেরানীকে ক্ষেপিয়ে সেই অফিসে চাকরি করা যায় না। আর বিদ্যুতের মিটার রিডারকে খুশি না করলে ভৌতিক বিল আসবে কোয়ার্টারে, সেই বিল ক্লিয়ার না করা অবধি পেনশনও আটকে যাবে চাকরি শেষে।
অন্যদিন ওই এলাকার বিদ্যুতের আবাসিক প্রকৌশলীর সাথে এক ফার্নিচার দোকানে গেলাম পড়ার টেবিলে বানাতে। উনিও কিছু জিনিস বানাবেন। কথাবার্তায় বুঝলাম ফার্ণিচারওয়ালা আবাসিক প্রকৌশলীকে দামে ( কাঠের দাম ব্যতিত শুধু মজুরী ) যতটা ছাড় দিয়েছেন আমাকে একটুও ছাড়েন নি। কারন ঐ বিদ্যুতের অবৈধ লাইন!
নিজের কাছের আত্মীয় স্বজন অসুস্থ হলে, স্ব-শরীরে গিয়ে সাহায্য করতে হয়, অনেক সময় নিজের অর্থহানিও হয়। তারা তখন খুব খুশি হয়। তাদের জন্য বড় ডাক্তারের সিরিয়াল নিয়ে দেয়া থেকে, ক্লিনিকের বিল কমানোর তদবির ও ঔষধ কিনে দেয়া পর্যন্ত আপনার মানিব্যাগের যথেষ্ট শক্তি থাকতে হয়। কোন কোন আত্মীয় দম্পতির চারটি বাচ্চা হয়েছে ( যা আমার অপছন্দ ) , প্রায় প্রতিটিতে স্বল্পমূল্যে ব্যবস্থা করতে গিয়ে হাঁটুর লিগামেন্ট ছেড়ার পথে আমার।
বড় অসুবিধা হলো, ডাক্তার নিজে অসুস্থ হলে, কাংক্ষিত সেবা পায় না। কারন তার অভিভাবক সে নিজে কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য কোন না কোন অভিভাবক থাকে সিদ্ধান্ত নেয়ার । নিজের চাহিদা ও পাওয়ার মাঝে বেশ তফাৎ থাকে। তখনি বুঝতে পারে সে সাধারণ মানুষ কত অসহায় এসব ক্ষেত্রে!
সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো, তার নিজের অসুখ নিয়ে ব্যায়াসড থাকে তারা। আর্মি, নেভি বা পুলিশের নিজস্ব অনেক হাসপাতাল থাকলেও ডাক্তারের নিজ সেবা পাওয়ার কোন প্রতিষ্ঠান নেই। যদিও অনেক অপশন আছে কিন্তু যত বেশি অপশন তত বেশি সিদ্ধান্তহীনতা! দ্রুত ভালো হওয়ার তাগিদ, করোনার মতো রোগ হলেও আইসিইউ তে বিছানা পেতে তাকেও সিরিয়ালের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।
একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে পৌঁছানোর আগে, যখন যেখানে উদ্বাস্তুর জীবন সরকারি ডাক্তারদের। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেবা দিতে গিয়ে ছয়মাস প্রায়দিনই একবেলা খেয়েছি। অথচ কত রিলিফ আসছে রোহিঙ্গাদের জন্য তাকিয়ে দেখতাম।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ডাক্তার হওয়ার সুবিধা
উপরের গ্রাফ টি তে দেখানো হয়েছে ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় পুলিশ, পররাষ্ট্র ও প্রশাসন ক্যাডার ডাক্তার ও প্রকৌশলীদের অংশ গ্রহণ প্রায় ৩০%। ৪০তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশ পাওয়া ৩৪২ জনের মধ্যে প্রকৌশলী ও চিকিৎসক ১০২ জন।
কেন একজন চিকিৎসক নিজস্ব স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিয়ে অন্য বিষয়ে ক্যারিয়ার করেন, সেটা অনুসন্ধান করতে সরকার মোটেও চেষ্টা করেনি।
যে সময়ে ডাক্তারের সমমানের একজন প্রশাসক বা পুলিশ চার ধাপ প্রমোশন পান, ডাক্তার এক ধাপ ও পান না। প্রমোশণের জন্য অন্য ক্যাডার দের উচ্চতর ডিগ্রি লাগে না কিন্তু ডাকারদের লাগছে। অন্যরা টাইম পাস করলে হলো।
ওসব ক্যাডারে দ্রুত পদোন্নতি, গাড়ির সুবিধা, অতিরিক্ত ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ আছে যা স্বাস্থ্য ক্যাডারে নেই ।
আর তাদের তুলনায় ভাল কোয়ার্টার ও নিরাপত্তা বলতে কিছুই নেই ডাক্তারদের।
মন্ত্রণালয়গুলোর শীর্ষ সব পদই প্রশাসন ক্যাডার থেকে আসা কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণে। এখানে পেশাগত বিশেষ দক্ষতা থাকার পরও পেশাভিত্তিক অন্য ক্যাডাররা শীর্ষ পদে যেতে পারেন না। বিশেষ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পদগুলো ই এমন মানুষ জন আছেন যাদের বিভাগ টি সম্পর্কে কোন দুরদৃষ্টি নেই।
সুবিধার মধ্যে হলো, পথে দেখা হলে, কিছু ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা হোন্ডায় লিফ্ট দেয়, কলম প্যাড গিফট দেয়। তবে আঘাতজনিত কেসগুলোর জন্য আদালতে সাক্ষ্য দিতে গেলে বিচারক সাহেবরা সম্মান দেখিয়ে সবার আগে স্বাক্ষ্য দিতে সুযোগ দেন, যাতে দ্রুত কর্মক্ষেত্রে যেতে পারি।
ভবিষ্যত ডাক্তারদের প্রতি বার্তা-
পছন্দটি নিজের নাকি পিতা মাতার চাপে, জেনে নিন। বর্তমান যুগ উদ্যোক্তা হওয়ার মঞ্চ। বড় কর্পোরেট হাসপাতালগুলোর মালিকেরা অধিকাংশই অ-চিকিৎসক উদ্যোক্তা। সাম্প্রতিক সিভিল সার্ভিস পরীক্ষাগুলোতে প্রচুর ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার অন্য সার্ভিসগুলোতে ( প্রশাসন, পুলিশ, পররাষ্ট্র ) যোগদান করছেন বিবিধ সুবিধার জন্য। এটা হয়তো আপনার জন্য কিছু ইঙ্গিত হতে পারে। তারপরও চিকিৎসা মহান পেশা। উন্নত দেশগুলোর চাকরিজীবীদের মধ্যে এটি উচ্চতর বেতনের একটি পেশা।
হাসপাতালে কাজ করা চিকিৎসকদের ভাবসাব দেখেও অনেকে ডাক্তার হতে চায়। উৎসাহ বা ইচ্ছাটা যখন থেকে যেভাবেই আসুক না কেন, মনে রাখতে হবে এ কঠোর পরিশ্রমের চিকিৎসা পেশাতে আসার পথটা সহজ না। তেমনি চিকিৎসক হওয়ার পরের জীবনেও পরিশ্রমটা চালিয়ে যেতে হয়।
ডাক্তারদের বিষয়ে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলঃ
- ডাক্তারদের গড় আয়ুস্কাল দেশের মানুষের গড় আয়ুস্কালের চেয়ে ১০ বছর কম।
- একজন ডাক্তারের স্ট্রেস এর পরিমান অন্য যে কোন প্রফেশনের চেয়ে অনেক বেশি। ডাক্তারা অনেক কম ঘুমান এবং সাপ্তাহে অন্তত এক দিন হলেও রাতে কাজ করেন। আর দৈনিক প্রায় ১৪-১৬ ঘন্টা কাজ করেন, এরপর ও বাসায় গিয়ে ১-২ ঘন্টা পড়াশুনা করতে হয়।
- একজন MBBS ডাক্তার হওয়ার জন্য ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৮৫০-৯০০ টা ইন্ডিভিজুয়াল পরীক্ষায় পাশ করে আসতে হয়। যা অন্য কোন প্রফেশনাল ডিগ্রি নিতে এতো পরীক্ষার সম্মুখিন হতে হয় না।
- একজন ডাক্তারকে বিশেষজ্ঞ হওয়ার জন্য প্রায় ১৪ বছর শুধু একডেমিক্যালি পড়াশুনা করতে হয়, এবং সারা জীবন ধরে এই পড়াশুনা চালিয়ে যেতে হয়।
- বাংলাদেশে এমন কোন ডাক্তার নাই যিনি তার কর্মজীবনে কোন না কোন রুগি বা রুগির আত্মীয়দের খারাপ ব্যাবহার সম্মুখীন হন নাই। অনেক ক্ষেত্রেই সেটা হাতাহাতি/রক্তারক্তি এবং কি জীবন নাশের পর্যায়েও যায়। সম্পূর্ণ অনিরাপদ কর্মস্থল ডাক্তারদের-ই।
- সব থেকে নিদারুন গোপন কথা, একজন ডাক্তার মানে এতো এতো ইনকাম, রুগি দেখলেই ৫০০-১০০০টাকা ভিজিট, আহাঃ বেশির ভাগ ডাক্তার স্বচ্ছলতার মুখ দেখে বা এনাফ টাকা ইনকাম করে যখন তার বয়স ৪০ বা ৪০ পার হয়ে যায়, তত দিনে শরীরে ডায়াবেটিস, হাইপারটেশনের মত রোগ বাসা বাঁধে।
মন্তব্যসমূহ