সেপটিক ট্যাঙ্ক!
একটি সেপটিক ট্যাঙ্ক হল কংক্রিট, ফাইবারগ্লাস বা প্লাস্টিকের তৈরি একটি ভূগর্ভস্থ চেম্বার যার মাধ্যমে মৌলিক পয়ঃনিষ্কাশন প্রক্রিয়ার জন্য গার্হস্থ্য বর্জ্য জল প্রবাহিত হয়।
নিষ্পত্তি এবং অ্যানেরোবিক পচন প্রক্রিয়াগুলি কঠিন এবং জৈব পদার্থকে হ্রাস করে, তবে বর্জ্য জলের ব্যবস্থাপনা ও কার্যকারিতা কেবলমাত্র মাঝারিমানের।
সেপটিক ট্যাংক ব্যবহার করা হয় কেন?
সেপটিক ট্যাঙ্ক হল একটি চাপা, জল-আঁটসাঁট পাত্র, এর কাজ হল বর্জ্য জলকে যথেষ্ট দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখা যাতে কঠিন পদার্থগুলিকে স্লাজ তৈরি করে নীচের দিকে স্থির হতে দেয়, যখন তেল এবং গ্রীস ময়লা উপরে ভাসতে থাকে।
সেপটিক ট্যাঙ্ক ব্যর্থতার লক্ষণ :
বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক পূর্ণ হয়ে গেলে, মল বর্জ্যের যথাযথ ব্যবস্থা এবং নিষ্পত্তি করা প্রতিটি বাসিন্দা এবং স্থানীয় সংস্থাগুলির জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে।
বাড়ির মালিক মাত্রই জানেন এর ভোগান্তি কত কষ্টের। সচেতন না হলে পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
সেপ্টিক ট্যাঙ্কের লিক বা ওভার ফ্লো দুর্গন্ধের অন্যতম কারন |
সেপটিক ট্যাঙ্ক নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করা একটি ভাল বাড়ি বা ব্যবসার মালিক হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এটির জন্য কোন সময় কেউ ব্যর্থ হতে চায় না, শুধুমাত্র ভয়ঙ্কর গন্ধ এবং নোংরার কারণে নয়, এটি ব্যর্থ হলে সর্বত্র ঝামেলা থাকবে। তবে এটি ব্যর্থ হলে আমাদেরকে যে পরিমাণ সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হবে তার কারণেও চিন্তা থাকে।
যাইহোক, সব বাড়ির ই পয়ঃনিষ্কাশন রয়েছে, কারো সেরা প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তার সেপ্টিক ট্যাঙ্ক কখনও ব্যর্থ হয়। কেউ হয়তো ভাবছেন দুর্ঘটনা ঠেকাতে তিনি কী করতে পারতেন এবং কী কারণে এমন জঘন্য বিপর্যয় ঘটতে পারে।
কখনই সেপটিক সিস্টেমের উপরে যানবাহন চালাবেন না বা পার্ক করবেন না - এটি কভারটিকে ক্ষতিগ্রস্ত বা অপসারণ করতে পারে।
আপনার সেপটিক সিস্টেম পরিদর্শন বা পাম্প করার সময় কখনই একটি খোলা ঢাকনা অযত্নে রাখবেন না।
সেপটিক ট্যাঙ্ক ব্যর্থ হওয়ার কারণসমূহ:
দূষিত মাটি আপনার সিস্টেম থেকে তরল শোষণ এবং প্রক্রিয়া করতে পারে না। আপনার যদি গুরুতর সমস্যা হয় তবে আপনাকে আপনার সেপ্টিক ট্যাঙ্ক সিস্টেমটি প্রতিস্থাপন করতে হতে পারে।
১, খারাপ ডিজাইন
একটি বোচড বা ভুল সেপটিক ট্যাঙ্ক ইনস্টলেশন একটি টিকিং টাইম বোমা, যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটাবে।
সেটা জঘন্য এবং নোংরা টাইম বোমা। কেউ আশা করতে পারেন যে তার সেপটিক ট্যাঙ্কটি প্রথম স্থানে সঠিকভাবে ইনস্টল করা না হলে প্রচুর সমস্যা হতে পারে।
একটি মিসলাইনড অংশের অর্থ হল সেখানে পয়ঃনিষ্কাশন লিক হবে এবং এমন অংশগুলি তৈরি হবে যা এমনকি নর্দমার সাথে মিশে যাবে।
এটি প্রতিরোধ করার সর্বোত্তম উপায় হল সেপটিক ট্যাঙ্ক ইনস্টল করার জন্য একজন বিশ্বাসযোগ্য পেশাদার নিয়োগ করেছেন তা নিশ্চিত করা।
একটি সেপটিক ট্যাংকের আদর্শ নকশা কি? একটি সেপটিক ট্যাঙ্ককে অবশ্যই অ্যাসিড-প্রতিরোধী ইনলেট এবং আউটলেট পাইপ বা টিজ দিয়ে ডিজাইন করতে হবে, ইনলেট এবং আউটলেট উভয়ের উপর কমপক্ষে ৬ ইঞ্চি ব্যাস পরিদর্শন পাইপ এবং কমপক্ষে ১২ ইঞ্চি ব্যাসের একটি অ্যাক্সেস ম্যানহোল। একটি একক ট্যাঙ্ক প্রায়শই ব্যবহৃত হয়, তবে একাধিক ট্যাঙ্ক সিরিজে সংযুক্ত করা যেতে পারে। |
২, ধারাবাহিক অতিরিক্ত চাপ বা ওভারলোডিং:
ওভারলোডিংয়ের সাথে খুব বেশি জল নিষ্কাশন করা বা একবারে সেপটিক ট্যাঙ্কে খুব বেশি কঠিন বর্জ্য ডাম্প করা জড়িত। এটি একটি সমস্যা হতে পারে কারণ এটির জন্য সেপ্টিক ট্যাঙ্ককে আরও ঘন ঘন পাম্প করতে হবে, অন্যথায় ট্যাঙ্কটি দ্রুত ক্ষয় হবে।
অতিরিক্ত পানির বর্জ্য, সেপটিক ট্যাঙ্ককে জলের উপর অতিরিক্ত বোঝা থেকে বাঁচাতে কয়েক দিন বা সপ্তাহ ধরে লোড নিতে হয়। অন্যদিকে অতিরিক্ত কঠিন বর্জ্য টয়লেট থেকে আসে না।
অত্যধিক কঠিন বর্জ্য বেশিরভাগই আবর্জনা থেকে আসে এবং বেশির ভাগ বর্জ্য যথেষ্ট দ্রুত হ্রাস পায় না। হয় আবর্জনা নিষ্পত্তির ব্যবহার কমিয়ে দিন অথবা আবর্জনার বিন বা কম্পোস্ট পিটে আবর্জনা ফেলুন।
৩, অবকাঠামোর ক্ষতি:
এই ক্ষতি বিভিন্ন আকারে আসতে পারে। সেপটিক ট্যাঙ্কের উপর দিয়ে বারবার গাড়ি চালানো হচ্ছে সবচেয়ে সাধারণ একটি।
এটি এটিকে সংকুচিত করে এবং ট্যাঙ্ক থেকে বর্জ্য পদার্থ বের হতে সহজ করে তোলে। অন্য একটি গাছের শিকড় সেপটিক ট্যাঙ্কে খনন করছে। গাছের শিকড় সহজেই একটি সেপটিক ট্যাঙ্ককে অবস্থানের বাইরে ঠেলে দিতে পারে।
৪, অন্য বস্তু ফ্লাশ করা:
সেপ্টিক ট্যাঙ্কে বিদেশী বস্তুগুলি ধীরে ধীরে তৈরি হবে এবং শেষ পর্যন্ত একটি নোংরা বিপর্যয় তৈরি করবে। এর কারণ হল বেশিরভাগ অন্য কোন বস্তু সেপটিক ট্যাঙ্কের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ভাঙ্গা যায় না।
এই বস্তুগুলি ধীরে ধীরে তৈরি হবে এবং ট্যাঙ্ককে ওভারলোড করা সহজ করে দেবে যা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্যাসেজ অবরুদ্ধ হবে।
কি বস্তু গেলে সেপটিক সিস্টেম ধ্বংস হবে?
যেকোন কাগজের পণ্য যেমন টিস্যু, কাগজের তোয়ালে, ট্যাম্পন বা স্যানিটারি পণ্য, এমনকি কিছু ভারী টয়লেট পেপার, যদি আপনি এটি যথেষ্ট পরিমাণে ফ্লাশ করেন তবে আপনার সিস্টেম আটকে যাবে।
ওয়েট ওয়াইপস হল আরেকটি পণ্য যা আপনার কখনই সেপটিক সিস্টেমে ফ্লাশ করা উচিত নয়।
৫, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব:
রক্ষণাবেক্ষণ যে কোনও সঠিকভাবে কাজ করা ডিভাইসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। এতে সেপটিক ট্যাঙ্ক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সেপটিক ট্যাঙ্ক রক্ষণাবেক্ষণ ট্যাঙ্কে ঠিক কী ঘটছে তা জানতে দেয় এবং সেই সমস্যাগুলি সমাধান করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে।
অন্যথায় "রক্ষণাবেক্ষণ" প্রত্যাশা অনুযায়ী নাও হতে পারে এবং রক্ষণাবেক্ষণের পরিবর্তে আরও ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
কিভাবে একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে ময়লা বা স্লাজ অপসারণ করবেন?
ময়লা বা স্লাজ অপসারণের পদ্ধতি,
প্রক্রিয়াটির মধ্যে রয়েছে কঠিন পদার্থকে স্থির হতে দেওয়া এবং তারপরে জল নিষ্কাশন বা বাষ্পীভূত করা।
একত্রীকরণের মধ্যে মাধ্যাকর্ষণ বা অবক্ষেপনও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে, যা কাদাকে ঘন করার প্রক্রিয়া। ধ্বংস হল কাদাকে মিথেনে পরিণত করার জন্য অক্সিডাইজ করার প্রক্রিয়া।
সেপ্টিক ট্যাঙ্ক দুর্ঘটনার বাহ্যিক কারণ:
- অনিরাপদ সেপটিক ট্যাঙ্ক কভার বা অ্যাক্সেস :
- খুব হালকা (বাচ্চাদের দ্বারা সরানো সম্ভব ) বা ভঙ্গুর (পতন)
- সেপিক ট্যাঙ্কগুলি যেকোনও সময়ের জন্য খোলা রাখা এবং এড়িয়ে যাওয়া।
- ভুলভাবে পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাঙ্কগুলি ভেঙে পড়ার ঝুঁকি
- অনুপযুক্ত সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষেবা পদ্ধতি - সঠিক সরঞ্জাম এবং প্রশিক্ষণ ছাড়াই সেপটিক ট্যাঙ্কে প্রবেশ করা।
আমাদের দেশে এই বিষয়ে সরকারি উপদেশ বা ম্যানুয়েল ব্যতিত কোন নিয়ন্ত্রণকারী আইন নেই।
সঠিক প্রশিক্ষণ এবং সরঞ্জাম ছাড়া মানুষ এসব পরিষ্কার করতে যান। যার ফলে নিত্য ঘটে চলেছে, দুর্ঘটনা, মানুষের মৃত্যু।
সেপটিক ট্যাঙ্ক ও বাংলাদেশের প্রেক্ষিত :
সেপটিক ট্যাঙ্ক, সেসপুল বা রিজার্ভ ট্যাঙ্ক , ড্রাইওয়াল বা আবদ্ধ জলাশয় এ দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির ঘটনা বিশ্বব্যাপী বেড়েই চলেছে।
তবে বাংলাদেশে একটু বেশি মনে হচ্ছে, যা পত্রিকার নিয়মিত খবর। অদক্ষ কর্মীর অভাব এর অন্যতম কারন।
সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের সাথে সম্পর্কিত দুর্ঘটনা তাই বাড়ছে এবং গণমাধ্যমের নিয়মিত বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছে।জনসাধারণের ‘বুদ্ধি’ বাড়ছে না।
দুর্ঘটনা ঘটার সব ধরনের আলামত স্পষ্ট হওয়ার পরও, লোকজন সচেতন হচ্ছে না।
১৯৬২ সালে মেলবর্ণে প্রথম এ ধরনের ঘটনা ঘটে যখন সেপ্টিক ট্যাঙ্কের ঢাকনা খোলা মাত্র এক কিশোর কে উড়িয়ে দিয়েছিলো বিষাক্ত গ্যাস।
এরপরই সেখানে আইন করা হয়েছিলো অনিরাপদ সেপ্টিক ট্যাঙ্ক সম্পর্কে। উপযুক্ত প্রশিক্ষণহীন কেউ চাইলে তা করতে পারেনা যা দন্ডনীয় অপরাধ।
সেপটিক ট্যাঙ্ক দুর্ঘটনার কারন:
সেপ্টিক ট্যাঙ্ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারন বিষাক্ত গ্যাস।
মাটির নিচে গর্ত বদ্ধ অবস্থায় দীর্ঘদিন থাকলে তার ভেতর নানা ধরনের ক্ষতিকারক বিষাক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হয়।
- অ্যামোনিয়া, হাইড্রোজেন সালফাইড, সালফার ডাই অক্সাইড সহ সালফারের অন্যান্য গ্যাস, মিথেন, এমনকী বিষাক্ত কার্বন মোনোক্সাইড তৈরি হতে পারে।
"বদ্ধ থাকার ফলে এসব গ্যাস ক্রমশ ঘন হতে থাকে, এবং সেই সাথে অক্সিজেনের স্বল্পতা তৈরি হতে থাকে।" কখনো কখনো এ ধরনের বদ্ধ কূপ একেবারে অক্সিজেন শূন্য হয়ে যেতে পারে।
যার ফলে মানুষ এসব গর্তে ঢুকলে অক্সিজেনের অভাবে মানুষ বা যে কোনো প্রাণী দ্রুত অচেতন হয়ে যেতে পারে এবং তার জীবন হুমকিতে পড়তে পারে।
দমকল বাহিনীর অপারেশন বিভাগের পরিচালক বলেন, সেপটিক ট্যাংক বা বদ্ধ যে কোনো কূপের বিপদ সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষের ধারণা না থাকার ফলে মাঝে মধ্যে এসব ঘটনায় মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে।
এ ধরনের ঘটনায় সাধারণত দেখা যায়, কেউ একজন ময়লা পরিষ্কার করার জন্য ট্যাংকে নামেন। বিষাক্ত গ্যাস নাকে ঢোকার পর তিনি অন্ধকার ট্যাংকের মধ্যেই অচেতন হয়ে যান।
সাড়াশব্দ না পেয়ে ট্যাংকের ওপরে থাকা লোকেরাও ঢোকেন এবং যথারীতি তাঁরাও মারা পড়েন।
বছরে এভাবে আট–দশটি দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু তাতেও সাধারণ মানুষের হুঁশ হয় না। একই কায়দায় দুর্ঘটনায় সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা মরতে থাকেন।
জানা গেছে, জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করার সময়ও একই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। ট্যাংকে ঢোকা প্রথম শ্রমিককে উদ্ধার করতে গিয়ে একে একে পাঁচজনের একই পরিণতি হয়েছে।
সেপটিক ট্যাঙ্ক ব্যর্থতা ও দুর্ঘটনার প্রতিকার:
সেপটিক ট্যাঙ্ক নিরাপত্তা উপেক্ষা করা উচিত নয়।
- একজন সেনিটারি ইন্সপেকশন বিভাগের উপদেশটার সাথে কাজ করুন।
- স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরামর্শ নিন।
- আপনার একা সেপটিক সমস্যা নিয়ে কাজ করা উচিত নয়।
- আপনার সেপটিক সিস্টেম পরিদর্শন করুন।
- নিয়মিত সেপটিক পাম্পিং সময়সূচী দেখুন।
- গন্ধের জন্য সতর্ক থাকুন।
- আবর্জনা নিষ্পত্তি ব্যবহার সীমিত করুন।
- একটি সেপটিক ট্যাংক কাছাকাছি আগুনের শিখা এড়িয়ে চলুন।
অক্সিজেন ডিটেক্টর' যন্ত্র ব্যবহার করে, সহজ কিছু উপায়ে সেপটিক ট্যাংক, কুয়ো বা গভীর কোনো গর্ত কতটা নিরাপদ সেটা বোঝা সম্ভব।
একটি হারিকেন বা কুপি জ্বালিয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে তা সেপটিক ট্যাংক বা কূপের ভেতর নামিয়ে দিলে সেটি যদি দ্রুত দপ করে নিভে যায়, তাহলে বোঝা যাবে সেখানে অক্সিজেনের স্বল্পতা রয়েছে।
তবে এটি করার আগে টানা একদিন এর মুখ খোলা রাখা উচিত যাতে গ্যাস বেড়িয়ে যেতে পারে।
"আরো ভালো যদি ছোটো একটি মুরগির বাচ্চার পায়ে দড়ি ঝুলিয়ে গর্তের মধ্যে নামিয়ে দিলে যদি সেটি মারা যায় বা মরণাপন্ন অবস্থা তৈরি হয়, তাহলেও সহজে বিপদ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।"
বদ্ধ যে কোনো কূপ বা গর্তে ঢোকার সময় অক্সিজেন মাস্ক ব্যবহার করা সবচেয়ে নিরাপদ।
"নেহাতই যদি অক্সিজেন মাস্ক না থাকে তাহলে অনেক পাতাসহ গাছের ডাল কেটে তা দড়িতে বেঁধে গর্তের ভেতরে অনেকবার ওঠানামা করালে বিষাক্ত গ্যাস কিছুটা বাইরে বেরিয়ে আসে এবং কিছুটা অক্সিজেন ঢোকে।
"তবে পুরোপুরি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গেলে অক্সিজেন মাস্কের বিকল্প নেই।"
সূত্র, বিবিসি বাংলা, উইকিপিডিয়া, ফায়ার সার্ভিস,
মন্তব্যসমূহ