আখ উপকারী হলে, চিনি কেন ক্ষতিকর!
বলা হয়, "ভালোবাসা যদি আখ হয় বিবাহিত জীবন চিনির মতোই। "
চিনির মুল উপাদান শুক্রজ । চিনি ছাড়াও ভাত, রুটি, দুধ, আখ এসব খাবার থেকেও আমরা শুক্রজ পাই।
চিনি হল একটি দ্বিগুণ চিনি বা ডাইস্যাকারাইড, যা দুটি চিনির অণু, গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ নামক দুটি মনোস্যাকারাইড নিয়ে গঠিত। শুক্রজ জলে উভয়কে দুটি সাধারণ শর্করাতে বিভক্ত করে - ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ। এক চামচ প্রক্রিয়াজাত চিনি থেকে শুধু প্রায় ৪ গ্রাম গ্লুকোজ পাওয়া যায়।
কিন্তু একচামচ কাঁচা আখের রস থেকে চিনির সমান ফ্রুক্টজ আসে। এটি প্রাকৃতিকভাবে ফল, মধু এবং বেশিরভাগ মূল শাকসবজিতে পাওয়া যায়। এরা মনো স্যাকারাইড বলে সুক্রোজের চেয়ে ধীরে শোষিত হয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রায ভয়ঙ্কর ওঠানামা করায় না। সাথে জিঙ্ক, ভিটামিন বি, সি, বি১২, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম সহ আরো বেশকিছু উপকারি পদার্থ পাওয়া যায়। তাই চিনির চেয়ে আখের রস উত্তম।
আখ আমাদের জন্য কোমল পানীয় বা বায়ুযুক্ত পানীয়ের বিকল্প হিসাবেও কাজ করে। যাইহোক, এটি এখনও পরিমিত খাওয়া উচিত।
প্রয়োজনের চেয়ে বাড়তি চিনি বা গ্লুকোজ উচ্চ রক্তচাপ , টাইপ ২ ডায়াবেটিস, স্থুলতাসহ বিভিন্ন রোগ ডেকে আনবে।
অন্য ফল হতে চিনি বানানো পরিবর্তে আখ হতে বানানো হয় কেন?
আখের ফলন খুব ভাল হয় । এটি পোকা মাকড় ও রোগ প্রতিরোধ করে। একটি আখ হতে দুই গ্লাস রস তৈরী সম্ভব যার মূল্য ২০ টাকা, যেখানে সমান আম বা কমলার রসের জন্য খরচ পড়বে ১০০ টাকা। আবার আখের চেয়ে আম, কমলার রসের মিষ্টি ভাব কম।
নারকেলের চিনি: স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে কি? নারকেলের চিনি সম্পর্কে জানতে লিংকটি সহায়ক হবে।
আখের রস খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে
আপনার ডায়াবেটিস থাকলে আখের রস একটি ভাল পছন্দ। যাইহোক, আখের রসে থাকা "বিশাল" পরিমাণে চিনি শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা বিপজ্জনকভাবে বাড়িয়ে দিতে পারে। অতএব, শরীরে যে নেতিবাচক প্রভাব আনতে পারে তা সীমিত করতে আপনার এই পানীয়টি সম্পূর্ণরূপে এড়ানো উচিত।
বাদামি চিনি, যা গুড়ের উপস্থিতির কারণে ব্রাউন সুগার একটি স্বতন্ত্র বাদামী রঙের সুক্রোজ চিনির পণ্য। এটিতে molasses বা আখের গোড়া থাকায় আলাদা ফ্লেভার থাকে।
যারা দুধ চায়ের ভক্ত তাদের জন্য গলিত চিনি ও দুধ সহযোগে "ক্যারামেল ক্যান্ডি" হিসাবে তৈরি হয়, চায়ে খাওয়ার জন্য, যা গলে যায় দ্রুত।
আখ নিয়ে কিছু তথ্য :
আখের লাল বিন্দু Collectotrichumsp নামক ছত্রাক দ্বারা সৃষ্ট। একে আখের জং ধরা বলে।
এ রোগের লক্ষণ হল পাতা হলুদ হয়ে যাওয়া, উপরের পাতা মরে যাওয়া, হালকা হয়ে ভেঙে যাওয়া ইত্যাদি।
ছত্রাক যুক্ত আখের গন্ধ গাঁজনকারী মদের মতো এবং এটি খাওয়া উচিত নয়।
শুধু এটি নয়, আখের দুটি জোড়া অংশের মধ্যবর্তী টুকুও খাওয়া অনুচিত।
প্রেম সম্পর্কে ভুল ধারণা গুলো কী যা সম্পর্কের ক্ষতি করতে পারে
মন্তব্যসমূহ