বিশ্বের সেরা মানসিক স্বাস্থ্যসেবা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, মানসিক স্বাস্থ্য হল "স্বাস্থ্যের এমন একটি অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তি তার নিজের শক্তিকে চিনতে, স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের চাপ মোকাবেলা করতে, কঠোর পরিশ্রম করতে এবং সমাজে অবদান রাখতে সক্ষম হয়"। এই সংজ্ঞাটি দেখায় যে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা শুধুমাত্র ব্যক্তিদের জন্য নয়, আমাদের চারপাশের সমগ্র সম্প্রদায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্বের সেরা মানসিক স্বাস্থ্য সেবা দেয়া দেশ গুলো।
মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সরাসরি দেশ অনুসারে মানসিক স্বাস্থ্যের হারকে প্রভাবিত করে এবং এটি সমাজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সম্প্রতি, মানসিক অবস্থা শারীরিক অবস্থার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে সরকারগুলি লক্ষ্য করা শুরু করেছে যে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা তাদের জনগণের সুখের স্তরে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। এটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত: মানসিক রোগে আক্রান্ত পাঁচজনের মধ্যে চারজন চিকিত্সা পান না কারণ তাদের নিম্ন বা মধ্যম আয় রয়েছে। সেজন্য আমরা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বসবাসের সেরা জায়গাগুলো বিশ্লেষণ করেছি। বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়?
বিশ্বের সেরা মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সহ দেশগুলির
1/ সুইডেন
2/ জার্মানি
3/ ফিনল্যান্ড
বিশ্বের সেরা মানসিক স্বাস্থ্যসেবার দেশগুলিকে এই স্থানগুলি কী করে সেবা দেয়?
মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সরকারী ব্যয়: অবসর সময় এবং ব্যক্তিগত যত্ন নিবেদিত ঘন্টা:
অবসর এবং ব্যক্তিগত যত্নে ব্যয় করা প্রতিদিনের গড় সংখ্যা:
সবচেয়ে সবুজ জায়গা:
গড় তাপমাত্রা:
গড় বৃষ্টিপাত:
সুইডেন
ইতিবাচক মানসিক সুস্থতা স্কোর: 10 এর মধ্যে 7.13
সুইডেন আমাদের ইতিবাচক মানসিক স্বাস্থ্য সূচকের শীর্ষে, এবং সঙ্গত কারণে। নর্ডিক জাতি সবুজ স্থানের শতকরা হারের জন্য উচ্চ স্থান পেয়েছে, কারণ এটি সবুজ শঙ্কুযুক্ত বনের আয়োজক হিসাবে ভূমিকা পালন করে যা এর বেশিরভাগ জমি দখল করে বিশ্রাম এবং মানসিক সুস্থতার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ প্রদান করে।
কর্মজীবনের ভারসাম্যের ক্ষেত্রেও সুইডেন উচ্চ স্কোর করেছে, মাত্র 1.1% সুইডিশরা খুব দীর্ঘ সময় কাজ করে।
বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় সবচেয়ে বেশি সরকারী ব্যয়কারী দেশগুলি কী কী?
1/ ফ্রান্স (15%)।
মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য উচ্চ স্তরের রাষ্ট্রীয় তহবিল তাদের মানসিক সুস্থতার সাথে লড়াইকারীদের জন্য হেল্পলাইন প্রদানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ফ্রান্সের স্বাস্থ্যসেবা ব্যয়ের সর্বোচ্চ স্তর রয়েছে, তার মানসিক স্বাস্থ্যসেবা বাজেটের 15% মনোরোগ হাসপাতালগুলিতে উত্সর্গ করে৷
2/ নরওয়ে (13.5%)
দ্বিতীয় স্থানে, নরওয়ের নর্ডিক দেশ তার মানসিক স্বাস্থ্য বাজেটের 13.5% মানসিক হাসপাতালে ব্যয় করে। আনুমানিক 50% নরওয়েজিয়ানরা তাদের জীবদ্দশায় মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে এই দেশটি মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য এত বড় পরিমাণ বরাদ্দ করে।
3/ জার্মানি (11.3%)
তৃতীয় স্থানে রয়েছে জার্মানি যার মানসিক স্বাস্থ্য বাজেটের 11.3% মানসিক হাসপাতালে বরাদ্দ করা হয়েছে৷ মানসিকভাবে অসুস্থদের খুঁজে বের করা এবং চিকিত্সা করার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা এবং একটি বিস্তৃত সহায়তা নেটওয়ার্ক প্রদানের জন্য দেশটির উচ্চ স্তরের প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তাই এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে জার্মানির বাজেট আমাদের তালিকায় সবচেয়ে বড়।
মানসিক রোগ বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে।
বিভিন্ন জরিপ ও গবেষণার তথ্য বলছে, করোনা মহামারির কারণে সারা বিশ্বের মতো
বাংলাদেশের মানুষের মানসিক চাপ বেড়েছে, মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের ১৮ শতাংশ এবং কিশোর-কিশোরীদের ১৩ শতাংশ বিভিন্ন
মানসিক সমস্যায় ভুগছে। অথচ হৃদরোগে আক্রান্ত দেশের ২১ শতাংশ রুগীদের জন্য যে
বিশাল কর্ম পরিকল্পনা তার সিকিভাগ ও নেই মানসিক রুগীদের জন্য।
স্বাস্থ্য বিভাগের অগ্রাধিকারের তালিকাতে নেই মানসিক সমস্যা।
ঢাকা ট্রিবিউন দ্বারা প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন দেখায় যে "2022 সালে প্রতি
মাসে 45 জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে" এবং বাংলাদেশের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থা (WHO) দ্বারা পরিচালিত একটি বিস্ময়কর পরিস্থিতিগত মূল্যায়ন দেখায়
যে বাংলাদেশে প্রতি 100,000 জনে আনুমানিক 260 জন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং 565 জন
মনোবিজ্ঞানী রয়েছে৷
পাবনা মানসিক হাসপাতাল
প্রায় ১৭ কোটি জনসংখ্যার জন্য পাবনা মানসিক হাসপাতাল বাংলাদেশের প্রথম
এবং একমাত্র মানসিক হাসপাতাল। এটি ১৯৫৭ সালে স্থানীয় জমিদার বাড়িতে পাবনা
জেলার তৎকালীন সিভিল সার্জন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫৯ সালে এটি জেলা শহর
থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে হেমায়েতপুরে ১১১ একর জমিতে স্থানান্তরিত
হয়। প্রাথমিকভাবে শয্যা সংখ্যা ছিল ৬০ এবং পরবর্তীতে ২০০টি বৃদ্ধি করা
হয়। পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালে আরও ২০০টি শয্যা যুক্ত করা হয়। মোট শয্যার মধ্যে
২৮০টি নন-পেয়িং এবং ১২০টি পেইং বেড। হাসপাতালে ১৮টি ওয়ার্ড রয়েছে- পুরুষ
রোগীদের জন্য ১৩টি (১১টি নন-পেয়িং এবং 2টি পেয়িং) এবং ৫টি (৪টি নন-পেয়িং
এবং ১টি পেয়িং) মহিলা রোগীদের জন্য৷ বর্তমানে আরও ১০০ শয্যা সংযোজনের
চেষ্টা চলছে।
পরিচালক হাসপাতালের প্রশাসনিক প্রধান। এটিতে ২৪ জন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ,
ডাক্তার, ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট, বায়োকেমিস্ট, সাইকিয়াট্রিক সোশ্যাল
ওয়ার্কার ইত্যাদি সহ 365টি অনুমোদিত পদ রয়েছে, বাকিরা নার্স,
ফার্মাসিস্ট, রেডিওগ্রাফার, টেকনিশিয়ান, পেশাগত থেরাপিস্ট, প্রশাসনিক
সহকারী ইত্যাদি সহ সহায়ক কর্মী।
দেশের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য আইন, নীতি ও কর্মকৌশল আছে।
২০১৮-১৯-এ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপ বলছে দেশে ১৮ বছরের বেশি বয়সী মানুষের
১৭ শতাংশ কোনো না কোনো মানসিক রোগে আক্রান্ত। এসব ব্যক্তির ৯২ শতাংশই
চিকিৎসা নেন না।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে কাজ করছে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। এই শাখা একটি
অপারেশনাল প্ল্যান বা কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের বিষয়ে
কাজ করে। এর মধ্যে আছে: হৃদ্রোগ, কিডনি রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যানসার,
ডায়াবেটিস ইত্যাদি। এসব রোগের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিও দেখা হয় বলে
বিষয়টি বিশেষত্ব পায়না। তাই দেশব্যাপী মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ও হাসপাতাল
নগণ্য।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
প্রতিষ্ঠানটি ২০০১ সালে বর্তমান স্থান ঢাকা মহানগরীর শেরে-ই-বাংলা
নগরে যাত্রা শুরু করে।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় তিন শতাধিক ডাক্তার এবং সহায়ক স্বাস্থ্য
সেবাকর্মী নিয়োজিত আছেন। ৪০০ শতাধিক ভর্তি রোগীর সেবা প্রদানের
ব্যবস্থা রয়েছে। কিছু বিশেষায়িত ক্লিনিকের মাধ্যমেও সেবা দেয়া
হয়ে থাকে – এর আওতায় যারা শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ রয়েছেন তাদের সেবা দেয়া হয়।
এছাড়া বিষণ্ণতা, ওসিডি বা শুচিবায় রোগ, যৌন সমস্যা ও মাদকাসক্তির চিকিৎসার
জন্য বিশেষায়িত ক্লিনিক রয়েছে। চিকিৎসকদের পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানটিতে
সাইকোলজিস্টরা কর্মরত রয়েছে যারা রোগীদের কাউন্সেলিং এবং সাইকোথেরাপি সেবা
দিয়ে থাকেন।
বাংলাদেশে, মাত্র ২৭০ জন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং প্রায় ৫০০ জন মনোবিজ্ঞানী ১৬
কোটিরও বেশি জনসংখ্যার সেবা করছেন।
মানসিক স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসা শুধু ব্যক্তির নিজের চিন্তাভাবনা, আবেগ,
আচরণ এবং অন্যদের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রাখতে সহায়তা করার মধ্যেই
সীমাবদ্ধ নয়। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য আইন ২০১৮ এবং
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য নীতি ২০২১ প্রস্তুত করা হয়েছে। ২০২০-২০৩০ তৈরি
করা পরিকল্পনাটির উদ্দেশ্য হচ্ছে- একটি টেকসই, অবকাঠামো প্রতিষ্ঠা
করা।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্যনীতি ২০২১ (চূড়ান্ত অনুমোদনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন
আছে), মানসিক স্বাস্থ্য আইন ২০১৮ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমন্বিত মানসিক
স্বাস্থ্য কর্ম পরিকল্পনা ২০১৩-২০২০, মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিদের সুরক্ষা ও
মানসিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের জন্য জাতিসংঘের নীতিগুলো এবং প্রতিবন্ধী
ব্যক্তিদের অধিকারবিষয়ক নীতিমালা যা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে
স্বীকৃত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমন্বিত মানসিক স্বাস্থ্য কর্ম পরিকল্পনা ২০১৩-২০২০
থেকে চারটি সাধারণ উদ্দেশ্য বাংলাদেশের কৌশলগত পরিকল্পনাটিতে অন্তর্ভুক্ত করা
হয়েছে।
১. মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কার্যকর নেতৃত্ব ও পরিচালনা ব্যবস্থা জোরদার করা।
২. কমিউনিটি পর্যায়ে বিস্তৃত, সমন্বিত এবং সংবেদনশীল মানসিক স্বাস্থ্যসেবা
এবং সামাজিক সহায়তা প্রদান করা।
৩. মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং প্রতিরোধের কৌশলগুলো বাস্তবায়ন করা।
৪. মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য তথ্য ব্যবস্থা, প্রমাণাদি এবং গবেষণা শক্তিশালী
করা।
শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকির কারণগুলো একই সঙ্গে মানসিক
স্বাস্থ্যের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
সে কারণে পরিকল্পনায় যে দিকগুলো প্রাধান্য পেয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্যগত রোগের কৌশলগত পরিকল্পনা কী!
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য আইন, ২০১৮ ( কিছু অংশ )
( ২০১৮ সনের ৬০ নং আইন )
(১) ‘অপ্রতিবাদী রোগী (Nonprotesting patient)’
অর্থ মানসিক স্বাস্থ্যগত কারণে চিকিৎসা অথবা ভর্তিসংক্রান্ত মতামত প্রদানে
অক্ষম কিন্তু মানসিক চিকিৎসা গ্রহণে বাধা প্রদান করেন নাই এইরূপ কোনো মানসিক
রোগী অথবা মানসিক প্রতিবন্ধী;
২) ‘অভিভাবক’ অর্থ ধারা ২১ এ উল্লিখিত কোনো অভিভাবক;
(৩) ‘আত্মীয়’ অর্থ অভিভাবকের অপারগতায় অথবা অনুপস্থিতিতে মানসিকভাবে
অসুস্থ রোগীর তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত রক্তসম্পর্কিয় অথবা বৈবাহিক সূত্রে অথবা
আদালত অনুমোদিত কোনো আত্মীয়-স্বজন।
মানসিক অসুস্থতা (Mental illness)
অর্থ দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার কর্তৃক নির্ণীত মাদকাসক্তি এবং মানসিক
প্রতিবন্ধিতা ব্যতীত মানসিক রোগের একটি ধরন;
(১৬) ‘মানসিক রোগ (Mental disorder)’
অর্থ মানসিক প্রতিবন্ধিতা এবং মাদকাসক্তিসহ ক্লিনিক্যালি স্বীকৃত এইরূপ কতিপয়
লক্ষণ অথবা আচরণ যাহা বিভিন্ন প্রকার শারীরিক ও মানসিক অথবা উভয়ের সহিত
সম্পর্কিত এবং যাহা ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবন-যাপনকে বাধাগ্রস্ত করে;
১৮) ‘মানসিক সুস্থতা’
অর্থ এমন এক স্বাভাবিক অবস্থা যখন প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের সম্ভাবনাসমূহ
অনুধাবন করিতে পারেন, জীবনের স্বাভাবিক চাপসমূহের সহিত সংগতি রাখিয়া জীবন
যাপন করিতে পারেন, উৎপাদনমুখী ও ফলদায়ক কার্যে নিজেকে নিয়োজিত রাখিতে পারেন
এবং নিজ এলাকার জনগোষ্ঠীর জন্য কোনোভাবে অবদান রাখিতে সক্ষম হন;
১১। (১) মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছায়
ভর্তি, অপ্রতিবাদী রোগী ভর্তি এবং অনিচ্ছাকৃত রোগী ভর্তির বিধান প্রযোজ্য
হইবে।
তবে শর্ত থাকে যে, নাবালক রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে অভিভাবক বা আত্মীয়ের নিকট
হইতে চিকিৎসার সম্মতি গ্রহণ করিতে হইবে।
আপনি যেখানেই যান না কেন, সম্পূর্ণ মানসিক শান্তি নিয়ে যান।
মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা এখন আগের চেয়ে বেশি প্রচলিত এবং দৈনন্দিন জীবনের চাপের কারণে, আপনার মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতার যত্ন নেওয়া আপনার জন্য ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। আমাদের ডায়েটে পরিবর্তন করা থেকে শুরু করে স্ব-যত্নের জন্য আরও সময় বের করা পর্যন্ত, আমাদের মধ্যে অনেকেই এখন আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার উন্নতির প্রচেষ্টায় সক্রিয় পদক্ষেপ নিচ্ছি। মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় বিনিয়োগ গড় সুখ যোগ করার সম্ভাবনা বেশি।
http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-details-1273.html
সায়মা ওয়াজেদ ও নাজিশ আরমান
https://www.william-russell.com/blog/countries-best-mental-healthcare/
, সূচনা ফাউন্ডেশন
মন্তব্যসমূহ