কদ বেল এর উপকারিতা

কদ বেল এর উপকারিতা

কদ বেল



কৎবেল গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Limonia acidissima। এটি রুটেসি গোত্রের উদ্ভিদ। ইংরেজিতে কৎবেলকে Elephant Apple বা Monkey fruit নামে ডাকা হয়।


কদ বেলের উৎপত্তি

কয়েতবেলের আদি নিবাস ভারত (আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ সহ), বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা। এই প্রজাতিটির চাষ ইন্দোচিন এবং মালয়েশিয়াতেও চালু করা হয়েছে।


আকারে ছোট হলেও স্বাদে অতুলনীয় ফলের নাম কদবেল। এটি টক আর মিষ্টি স্বাদের ফল। এ ফলটি আশ্বিন মাসের শুরু থেকে বাজারে পাওয়া যায়।


ওপরে শক্ত আবরণ আর ভেতরে নরম তুলতলে ছোট ছোট বিচি ভর্তি নরম অংশে ভরা। কাঁচা অবস্থায় এ ফল না খাওয়া গেলেও পাকা অবস্থায় এ ফলটি বেশ মুখরোচক। অনেকেই তাই লবণ আর মরিচ গুঁড়ার মিশ্রণ দিয়েও খেতে পছন্দ করেন।


তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চিনি, লবণ, বিট লবণ, কদবেলের ভেতরের অংশ আর মরিচ মাখিয়ে খেতেই পছন্দ করেন।


এ ক্ষেত্রে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী ঝাল মিষ্টির পরিমাণ বাড়িয়ে বা কমিয়ে নিতে পারেন। কিছু ক্ষেত্রে সারা বছর কদবেল সংরক্ষণ করতে কদবেলের আচার বানিয়েও রাখেন।


টক স্বাদের কারণে যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে তারাও খুব সহজে এ ফলটি খেতে পারেন।


কদ বেলের পুষ্টিগুন

প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি-এর ভান্ডার এ ফলটি তাই টক। যাদের মাড়ি ফোলা, কিংবা ভিটামিন সি-এর অপূর্ণতা আছে তারা এ ঋতুতে কদবেল রাখতে পারেন দুপুরের পরে খাবার তালিকায়।


এ ছাড়া যাদের মুখের স্বাদের তারতম্য থাকে সব সময় তারাও এ মৌসুমি ফলটি খেতে পারেন।


অন্যদিকে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বা রক্তশূন্যতা কমাতে কদবেল খুব উপকারী একটি ফল।


পাশাপাশি যাদের ব্রণের সমস্যা আছে তারা কাঁচা কদবেলের রস মুখে মাখতে পারেন। এতে ব্রণ কিংবা মেছতার দাগ দূর হবে এবং ত্বক তার আগের রূপ ফিরে পাবে।


পাকা কদবেলের ভর্তা, কদবেলের আচারের পাশাপাশি অনেকেই কদবেলের শরবতও বানিয়ে থাকেন। এ ছাড়া বিচিসহ এ ফলটি খাওয়া যায় বিধায় অনেকেই কোনো কিছু ছাড়াও কদবেল খেয়ে থাকেন।


কিছু ক্ষেত্রে কাসুন্দি মাখিয়েও অনেকে কদবেলের ভর্তা তৈরি করে থাকেন। যাদের কিডনিতে সমস্যা তারাও এ ফলটি খেতে পারেন।


এ ছাড়া মৌসুমি ফলে থাকে হাজারো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তাই মৌসুমি ফল আবশ্যক শরীর সুস্থ রাখতে যে কোনো ঋতুতে।


কদবেলের ব্যবহার: কয়েতবেলের শাঁস থেকে ফলের রস তৈরি করা হয়। কয়েতবেলের শাঁস থেকে জ্যাম তৈরি হয়। এই ফলের রসে অ্যাস্ট্রিজেন্ট ধর্ম রয়েছে। পাকা ফলে কেবল সবুজ মরিচ, চিনি এবং লবণ ছড়িয়ে আচার হিসাবে ব্যবহার হয়।


পুষ্টিগুণ: কয়েতবেলে যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন, শ্বেতসার, আয়রন, স্নেহ পদার্থ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-বি এবং সি ইত্যাদি রয়েছে।

বেলের উপকারিতা▶️



সূত্র, উইকি


স্বাস্থ্যের কথা/ বাংলাভাষায় অনলাইন স্বাস্থ্য ম্যাগাজিন

মন্তব্যসমূহ