অজ্ঞান পার্টি , মলম কারা? কি ঔষধ ব্যবহার করে?

অজ্ঞান পার্টি মলম পার্টি কারা

প্রতিবছর রাজধানীতে অজ্ঞান পার্টির কবলে পরে মারা যান কয়েকজন। তবে প্রায় হাজার জনকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে মৃত্যুর কাছাকাছি ঠেলে দেয় অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা।


জানা যায়, অচেতন হওয়ার আগে কেউ ডাব খেয়েছেন। কেউ ঠাণ্ডা পানি পান করেছেন।


কেউ বা খেয়েছেন ক্রিম বিস্কুট। আবার কেউ কিছু না খেয়েও জ্ঞান হারিয়ে টাকা পয়সা খুইয়েছেন।



অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি কারা!

কী করবো যদি বুঝতে পারি মলম পার্টির খপ্পরে পড়েছি?


কখনও কখনও, না বলার মতো সহজ কিছু আপনাকে অন্যদের এড়াতে সাহায্য করতে পারে। রাগ করবেন না বা আপনার আওয়াজ বাড়াবেন না। শান্তভাবে বলুন "না"।

মলম পার্টি দ্বারা একধরণের অপরাধী দলকে বোঝানো হয়। এরা মানুষের চোখে মলম বা ঐ জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ হঠাৎ করে লাগিয়ে দিয়ে তাদের ভিক্টিমের মূল্যবান সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়।


এই পদার্থগুলো চোখে দিলে চোখ জ্বালাপোড়া করে এবং দেখতে সমস্যা হয়। আর অজ্ঞান পার্টি খাবারের সাথে অজ্ঞান করার ওষুধ মিশিয়ে দেয়।


তাদের এই অভিযানে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়, কয়েকটি ভয়াবহ ঘুমের ওষুধ।


অপারেশনের টেবিলে কিংবা গুরুতর অসুস্থ রোগীর জন্য সুনির্দিষ্ট মাত্রায় চিকিৎসকরা যেসব ওষুধ ব্যবহার করেন ঠিক সেগুলোই ইচ্ছামাফিক মাত্রায় এরা মানুষকে খাইয়ে দেয় অবলীলায়।


মফস্বলের নিম্ন শ্রেণীর অশিক্ষিত মলম পার্টির সদস্যরা মূলত চুলকানি মলমের সাথে মরিচ গুঁড়া মিশিয়ে নিঃসঙ্গ কোন যাত্রীর চোখে লাগিয়ে দেয়।


যাত্রী যখন চোখ নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন তখন তারা মোবাইল, লাগেজ নিয়ে পালিয়ে যাবে।


এদের একটি গ্ৰুপ খাবারে উচ্চ মাত্রার ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে বাসে বা লঞ্চে বিক্রি করে খুব সস্তায়। যে সকল যাত্রীরা কিনে খায় তাদের অনুসরণ করে  গ্ৰুপের অন্য সদস্যরা।



অজ্ঞান পার্টির অস্ত্র

ক্লোরোফর্ম স্প্রে ব্যবহার কি?


ক্লোরোফর্ম একটি দ্রাবক হিসাবে ব্যবহৃত হয়, একটি পদার্থ যা অন্যান্য পদার্থকে দ্রবীভূত করতে সাহায্য করে।

এছাড়াও, এটি বিল্ডিং, কাগজ এবং বোর্ড শিল্পে এবং কীটনাশক এবং ফিল্ম উত্পাদনে ব্যবহৃত হয়।


এটি বার্ণিশ, ফ্লোর পলিশ, রজন, আঠালো, অ্যালকালয়েড, চর্বি, তেল এবং রাবারের জন্য দ্রাবক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।


আফিমের মতো প্রাকৃতিক ওষুধ দিয়ে হয়তো মানুষকে সহজেই কিছু সময়ের জন্য তন্দ্রাচ্ছন্ন করা যায়, তবে এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে।


কিন্তু কৃত্রিমভাবে বানানো এই ক্লোরোফর্ম বা ক্লোরাল হাইড্রেট—তর্ক সাপেক্ষে যাকে ইতিহাসের প্রথম ঘুমের ওষুধ বলে ধরে নেওয়া হয়, এর বড় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।


একটুখানি ক্লোরাল হাইড্রেট গ্রহণে মানুষ শান্ত হয়ে যাবে, আরেকটু গ্রহণ করলে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়বে এবং আরেকটু বেশি গ্রহণ করলে সরাসরি অচেতন।


ধুতুরা মস্তিষ্কে কী করে?


মানসিকভাবে, ধুতুরা মেজাজ এবং মানসিক অভিব্যক্তি দুর্বল করার পাশাপাশি স্মৃতিভ্রষ্টতা, বিভ্রান্তি, সাইকোসিস এবং হ্যালুসিনেশনের কারণ হতে পারে।

যদি একজন ব্যক্তি অত্যধিক ধুতুরা গ্রহণ করেন কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণ করার জন্য যথেষ্ট না হয়, তবে ভোক্তা ওষুধের বিপাক হওয়ার সাথে সাথে হ্যাংওভার ও অজ্ঞান মতো কিছু অনুভব করতে পারে।


পথে অপরিচিত কারোর বন্ধ্যুত্বের ভান করা এদের প্রথম অস্ত্র।


শহুরে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের হাতে সবচেয়ে বেশী ব্যবহার হয় এমন কিছু ঔষধ হল,

  • ধুতুরা ফুল ও ধুতুরার বীজ থেকে চেতনানাশক পদার্থ তৈরি করা হয়। ধুতুরার বীজ অজ্ঞান পার্টির কাছে খুবই জনপ্রিয়। এর বিষক্রিয়ায় ২/৩ দিন অজ্ঞান থাকতে পারে। কোনো কোনো সময় আক্রান্ত ব্যক্তি কোমায় চলে যায় এবং মৃত্যু ঘটে।
  • অ্যালকোহল (ধুতুরা ও অ্যালকোহল উভয়ই হালুয়া, ন্যূডুলস, চা বা জ্যুসে মিশিয়ে),
  • ডায়াজেপাম ট্যাবলেট (কলা, ডাব, ড্রিঙ্কসের ভেতরে  মিশিয়ে),
  • ক্লোনাজেপম সিরাপ (জ্যুস, ডাবের পানিতে),
  • প্রপোফল ( কল্ড ড্রিঙ্কসে মিশিয়ে) ,
  • GHB বা গামা হাইড্রোক্সি বুটাইরেট পাউডার, তরল, ( কোল্ড ড্রিঙ্কসে মিশিয়ে),
  • ক্রিস্টাল মেথ (কেক বা বিস্কুটের ক্রিম হিসেবে ),
  • ক্লোরোফর্ম (স্প্রে, ভিক্স হিসেবে )
  • মিথাডন স্প্রে (ক্লোরোফর্মের চেয়ে শক্তিশালী)

ঘুমের ওষুধ কি কাউকে অজ্ঞান করতে পারে?

যেহেতু ঘুমের বড়ি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে বিষণ্ণ করে কাজ করে, তাই ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার শরীরের কার্যকারিতাকে এমন মাত্রায় ধীর করে দিতে পারে যে অচেতনতা, শ্বাসযন্ত্রের ব্যর্থতা এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে।



ডেটিং রেপ কি, যৌন নিপীড়করা কি ঔষধ ব্যবহার করে?⁉️▶️


অজ্ঞান পার্টি ঘুমের কোন ঔষধগুলো ব্যবহার করে?


ক্লোরোফর্মের এত ভালো গুণের পাশাপাশি এই রাসায়নিকের কিছু অপব্যবহারও ইতিহাসে কম হচ্ছে না। সেগুলো ব্যবহার করে বেশ কিছু অপরাধও সংঘটিত হচ্ছে বিভিন্ন দেশে।

ক্লোরোফর্ম এবং এর ব্যবহার

ক্লোরোফর্ম কিভাবে মানবদেহকে প্রভাবিত করে?


ক্লোরোফর্ম ইনহেলেশনের পরে স্থানীয় লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে শ্বাসকষ্ট, এবং নাক ও গলা জ্বালা।

তীব্র শ্বাস-প্রশ্বাসের ফলে সিস্টেমিক লক্ষণ দেখা দিতে পারে যেমন অস্থিরতা, বমি বমি ভাব এবং বমি সহ অ্যাটাক্সিয়া, মাথা ঘোরা এবং তন্দ্রা।


ক্লোরোফর্ম একটি জৈব রাসায়নিক যৌগ যা প্রাথমিকভাবে একটি আদর্শ চেতনানাশক হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল।


এটি ১৮৩১ সালে প্রথম প্রস্তুত করা হয়েছিল। রাসায়নিক সূত্রটি হল CHCl3। এটি একটি বর্ণহীন, মিষ্টি গন্ধযুক্ত ঘন তরল যা বড় আকারে উত্পাদিত হয়।


ক্লোরোফর্ম একটি উদ্বায়ী এবং বর্ণহীন তরল যার গন্ধ ইথারের মতো।


পূর্বে শল্যচিকিৎসার সময় ইনহেলড অ্যানেস্থেটিক হিসাবে ব্যবহৃত হত, বর্তমানে ক্লোরোফর্মের প্রধান প্রয়োগ কৃষিতে, যেখানে এটি একটি দ্রাবক হিসাবে ব্যবহৃত হয় এবং বিশেষত রেফ্রিজারেন্ট ফ্রিওন তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়।



অজ্ঞান পার্টি ঘুমের ঔষধ হিসেবে বিভিন্ন জুস ও ড্রিংকসে সেডিল, এপিট্রা, নকটিন, প্রপোফল ব্যবহার করে।

এছাড়াও এটিভেন, মাইলাম ও ডর্মিকাম ট্যাবলেটও ব্যাপক ব্যবহার চলে।

এপিট্রা কি

এটি এক ধরনের তরল ওষুধ। বাচ্চাদের খিঁচুনি রোগ প্রতিরোধ করতে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী বিক্রি হওয়ার কথা।


যে কোনও খাবারের সঙ্গে এক ফোঁটা এপিট্রা ৫ মিনিটের মধ্যে ১২ ঘণ্টার জন্য ঘুম পাড়িয়ে দেবে। অতিরিক্ত সেবনে এই ঘুম তিন-চার দিন পর্যন্ত ভাঙবে না।


আর শারীরিকভাবে দুর্বল ব্যক্তি অতিরিক্ত ডোজে মারাও যেতে পারে বলে জানান চিকিৎসকেরা।


মিরপুর কেন্দ্রিক কিছু অসাধু ড্রাগ ব্যবসায়ীরা প্রতারকদের কাছে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে বলে পুলিশ উল্লেখ করেছেন ।


তারা এমন এমন মাত্রায় ব্যবহার করে যাতে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় মানুষ আক্রান্ত হয়। এর অন্যতম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হল,

  • তন্দ্রা
  • মাথা ঘোরা
  • অস্থিরতা
  • ভারসাম্য  সমস্যা।
  • চিন্তা করা বা মনে রাখতে অসুবিধা।
  • লালা বৃদ্ধি
  • পেশী বা জয়েন্টে ব্যথা।
  • ঘন ঘন মূত্রত্যাগ.

নক্টিন কি

নাইটরাজেপাম, ওষুধটি দুশ্চিন্তাগ্রস্ততার বিপরীতে কাজ করে। নিশ্চিন্তে ঘুমাতে স্বল্প ডোজে এই ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে অজ্ঞান পার্টির এক সদস্য জানান তাদের কাছে নক্টিন ট্যাবলেট ‘জনপ্রিয়’।


কারণ খাবারে এই ট্যাবলেট মেশালে খাবার তেতো হয় না। একাধিক ট্যাবলেটেও স্বাদ থাকে অপরিবর্তিত।


শুধু তাই নয়, কলা কিংবা অন্যান্য নরম ফল সামান্য ছিদ্র করে এই ট্যাবলেট ঢুকালে সহজেই ফলের সঙ্গে মিশে যায়।


এই ট্যাবলেট খেলে ১০ মিনিটের মধ্যে ১০-১২ ঘণ্টার জন্য ঘুম হয়।


গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর মিটফোর্ড এবং ফকিরাপুল এলাকার প্রায় প্রতিটি দোকানের কর্মচারীর সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের।


ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই ভয়াবহ সব ঘুমের ঔষধ উচ্চমূল্যে বিক্রি করা হয় তাদের কাছে। তবে সরবরাহকারীদের প্রতি অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা ‘অতি অনুগত’।


সম্প্রতি অজ্ঞান পার্টির বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, ভবিষ্যৎ সম্পর্ক রক্ষায় আটককৃতরা কখনো দোকানিদের সম্পর্কে কোন তথ্য দেয় না।


জিজ্ঞাসাবাদে সর্বোচ্চ মিটফোর্ডের কথা বললেও ‘দোকানের নাম জানি না’ বলে এড়িয়ে যায় তারা।


সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা সংস্থা মিটফোর্ডের কয়েকটি দোকান চিহ্নিত করে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের নিয়ে অভিযান চালায়। তব এ ধরনের কোন ঔষধ বিক্রির প্রমাণ ছাড়াই ফিরতে হয় তাদের।



সন্দেহজনক কিছু খেয়ে ফেললে আমার কী করা উচিত?

আপনি যদি ক্লোরোফর্ম শ্বাস নেন তাহলে আপনার কি করা উচিত?



ইনহেলেশন/ শ্বাস নিলে


• যদি ক্লোরোফর্ম মিস্ট বা বাষ্প শ্বাস নেওয়া হয়, অবিলম্বে তাজা বাতাস পেতে চেষ্টা করুন;

• চিকিৎসা সহায়তার জন্য ৯৯৯ এ কল করুন।
ইনজেশন/খেয়ে ফেললে

• বমি করতে প্ররোচিত করবেন না;

• চিকিৎসা সহায়তার জন্য ৯৯৯ নম্বরে কল করুন;

• সচেতন হলে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন;

• অচেতন ব্যক্তিকে মুখে কিছু দেবেন না।


  • আপনি যাত্রা পথে কিছু খেয়ে অসুস্থ  হলে, তাৎক্ষণিক ৯৯৯ কল করুন বা চিকিত্সার জন্য নিকটস্থ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান।

  • আপনি যদি ঘটনাটি রিপোর্ট করতে চান, পুলিশকে কল করুন এবং প্রমাণগুলি সংরক্ষণ করুন - যতক্ষণ না আপনি মেডিকেল পরীক্ষা না করেন ততক্ষণ গোসল করবেন না, কাপড় পরিবর্তন করবেন না বা দাঁত ব্রাশ করবেন না।

  • হাসপাতালে চিকিৎসা/আইনগত প্রমাণ সংগ্রহ না করা পর্যন্ত প্রস্রাব না করার চেষ্টা করুন। আপনার প্রস্রাব ওষুধের উপস্থিতির জন্য পরীক্ষা করা যেতে পারে। যত তাড়াতাড়ি আপনি হাসপাতালে যাবেন, আপনার সিস্টেমে ওষুধটি পাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি।

  • মানসিক সমর্থন এবং সাহায্য নিন। বেশিরভাগ হাসপাতালে মানসিক বিশেষজ্ঞ রয়েছে৷

অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টি থেকে বাঁচার উপায়

অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির খপ্পর থেকে বাঁচার প্রথম কৌশল হচ্ছে ব্যক্তিগত সচেতনতা।

  • পথে অপরিচিত লোকদের বন্ধু না ভাবা হচ্ছে সচেতনতার প্রথম ধাপ।

  • দ্বিতীয়ত, পথে-ঘাটে, বাইরে, অপরিচিত স্থানে কারো কাছ থেকে কিছু না খাওয়ার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করা। এদের হাত থেকে বাঁচতে হলে কোথাও অন্যের দেয়া খাবার গ্রহন না করা।

  • আপনার কাছে বেশ কিছু টাকা অথবা দামি কোন পণ্য আছে। যা নিয়ে যে কোন পরিবহনে আপনি যাবেন। কিন্তু তেমন কেউ যেতে রাজি হচ্ছে না। এভাবে বেশ কিছু সময়ও চলে গেছে। হঠাৎ একজন কম টাকায় রাজি হয়ে গেল। এক্ষেত্রে আপনাকে সাবধান হতে হবে, তার প্রতি সে অজ্ঞান পার্টি বা মলম পার্টি হতেও পারে।

  • গাড়িতে ভাগাভাগি করে উঠবেন না। যে গাড়ি ভাড়া করবেন, প্রয়োজনে সে গাড়ির নম্বর প্রিয়জনকে sms করুন।

  • যে স্থান গুলোতে দিনে অথবা রাতে বেশি র্নিজন থাকে সে সব স্থানে চলাচল করার সময় সাবধান হতে হবে।
  • গাড়ি বা বাসের সব যাত্রী নেমে গেলে, আপনিও নেমে যান। মেয়ে যাত্রীদের এ নিয়ম অবশ্য পালনীয় অথবা ফোনে কাউকে সার্বক্ষণিক নিজের গাড়ির নম্বর ও অবস্থান জানান।


নিতম্ব বৃদ্ধি সার্জারি জনপ্রিয় হচ্ছে কেন?



সাবস্ক্রাইব করুন। স্বাস্থ্যের কথা।

সূত্র, বাংলানিউজ. কম

মন্তব্যসমূহ