🍓আচারের ছত্রাক
ছত্রাকের উন্নতির জন্য আর্দ্রতা, উপযুক্ত তাপমাত্রা এবং পুষ্টির উৎস প্রয়োজন। সব্জি, ফল এবং রুটি এই সমস্ত শর্ত প্রদান করতে পারে, বিশেষ করে যদি সেগুলি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা না হয়।
আচার খারাপ হয়েছে কিনা তা কীভাবে বুঝবেন!
আপনার আচার খাওয়ার জন্য ঠিক আছে কিনা তা জানার জন্য নিম্নোক্ত ক্ষতিকারক লক্ষণগুলি দেখুন … এবং আপনি যদি প্রশ্ন করেন যে এখনও জারটি বাতিল করা উচিত কিনা।
আচারের বয়ামে বাজে গন্ধ: নষ্ট আচারের গন্ধ খারাপ এবং অপ্রীতিকরভাবে টক হবে। যদি গন্ধ আপনাকে পিছিয়ে দেয় বা খারাপ হয় তবে জারটি খারাপ হয়ে গেছে।
বিবর্ণ আচার : যদি আচার খারাপ হয়ে যায়, তাহলে আচার এবং জার উভয়ই বিবর্ণ এবং/অথবা মেঘলা হয়ে যাবে। নোংরা-দেখানো বাদামী বা বিবর্ণ আচার খাওয়ার জন্য নিরাপদ নয়।
আচারে দৃশ্যমান ছাঁচ: যদি আচারের উপর কোন ছাঁচ দেখতে পান বা ভাসতে দেখেন তবে সেগুলি খারাপ হয়ে গেছে এবং খাওয়া অনিরাপদ।
ফেঁপে ওঠা জার: এটি অস্থির বা নিয়ন্ত্রণের বাইরে গাঁজনের লক্ষণ - যার অর্থ আচার যা খাওয়ার জন্য অনিরাপদ। বয়াম বা ঢাকনা ফুলে গেলে আচারগুলো ফেলে দিন।
তবে আচার সংরক্ষণ করা কিছুটা রহস্য হতে পারে। যদি এগুলি মুদির শেলফ হতে কেনা হয়, তবে আপনার সেগুলি ফ্রিজে রাখতে হবে।
আচার নষ্টের কারণ
র্দ্রতার সংস্পর্শে, আচার স্বাদে বাজে এবং তেতো হয়ে যেতে পারে। তেল পানিতে দ্রবণীয় নয়; তাই, জল আচারের উপরের পৃষ্ঠকে ধ্বংস করে।
আচারের শিশি থেকে আচার বার করার সময় হাতের ব্যবহার করবেন না। চামচ দিয়ে আচার বার করার সময় দেখে নিন, সেটা শুকনো কি না।
কারণ অপরিষ্কার হাত, ভিজে ভাব ও ঘাম আচারে মিশলে ছত্রাক ধরার প্রবণতা বাড়ে। আচার ভাল রাখতে কাচের শিশিতে রাখুন ও নিয়মিত রোদে দিন।
টকজাতীয় কোনও ফল দিয়ে তৈরি আচারে, আরও তাড়াতাড়ি ছত্রাক জন্মায়।
আচার দীর্ঘদিন ভালো রাখতে বেশি করে তেল ব্যবহার করবেন। আচারের ওপর তেলের আস্তরণ থাকলে, তা সহজে বাতাস ঢোকা আটকায়।
এছাড়াও মেথি,হলুদ, হিং ইত্যাদিও খুব ভালো প্রিজারভেটিভ। তাই এই সমস্ত উপকরণ আপনার তৈরি আচারে রাখতে চেষ্টা করুন।
সেগুলোকে মাঝেমধ্যে রোদে দেওয়া যেতে পারে। রোদ না মিললে কড়াইয়ে সামান্য টেলে সংরক্ষণ করা যাবে। ভালো হবে এয়ারটাইট কনটেইনার কিংবা বয়ামে মসলা সংরক্ষণ করলে। এতে ছত্রাক থেকে পুরোপুরি রেহাই মিলবে।
বাড়িতে তৈরি আচারে পর্যাপ্ত পরিমাণ লবণ ব্যবহার করুন। কারণ লবণ, আচারের গন্ধ তো স্বাদ বজায় রাখে।
চাল কিংবা ডালের ক্ষেত্রে খাদ্য দুটি ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। কিংবা এ দুটি দ্রব্যে কর্পূর রেখে ছাতা পড়া থেকে রেহাই পাওয়া যায়। পোকাও দূরে থাকে।
« Previous যেসব খাবার ফ্রিজে
না রাখাই শ্রেয়
ধন্যবাদ পড়ার জন্য। ভালো লাগলে ব্লগটি ফলো করুন। স্বাস্থ্যের কথা/ বাংলাভাষায় অনলাইন ফ্রী স্বাস্থ্য ম্যাগাজিন
মন্তব্যসমূহ