হারপিস এর চিকিৎসা

হারপিস জোস্টার এর চিকিৎসা

হারপিস জোস্টার এর চিকিৎসা

জোস্টার চিকিৎসার ক্ষেত্রে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ও ক্রিম খুবই কার্যকর।


ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি হারপিস ভাইরাস ১০০ ধরণের উপরে হলেও মাত্র ৮ ধরনের হারপিস মানুষের ক্ষতি করে – এদের মধ্যে হারপিস জোস্টার এবং হারপিস সিম্পলেক্স মানুষের জন্য আতঙ্কের।


হারপিস জোস্টার কী
কখন ও কাদের হয়⁉️▶️


ব্যথা কমানোর জন্য প্রিগাবালিন জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বকের দানা অথবা ফুসকুড়ি চুলকাবেন না। প্রয়োজনে ঠান্ডা সেঁক দিলে আরাম পাওয়া যায়।


অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ দিয়ে চিকিত্সা করা হয়, আদর্শভাবে ত্বকের ক্ষত দেখা দেওয়ার ৭২ ঘন্টার মধ্যে দেওয়া হয়।


    বিশ্রাম, এই রোগের মূল চিকিৎসাই হলো রোগীর সঠিক বিশ্রাম


    ব্যথার ওষুধ বা পেইনকিলার প্রয়োগ করা হয়, শরীরের প্রবল যন্ত্রণার থেকে মুক্তির জন্য।


    • ভাইরাস সংক্রমণের প্রকোপ কমাতে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োগ করা হয়, ফলে অনেকক্ষেত্রেই উপশম হয় কষ্টের।


    অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ, বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় ওষুধের। অ্যাসাইক্লোভির বা ফ্যামসাইক্লোভির প্রয়োগ করা হয় সাধারণত।



ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা, দুধের জিনিস সহ্য হয়না কাদের ⁉️▶️


তবে একটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন, তা হলো — এই রোগে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা অনুভব হয়।


ফলে রোগী অনেকসময়ই বুঝে উঠতে পারেন না, তার আসলে কি হয়েছে৷


তাই এরকম কোনো উপসর্গ দেখা দিলে, তৎক্ষনাৎ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

কী কী জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে?

যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদের ক্ষেত্রে সংক্রমণ কেবলমাত্র শরীরের একটি অংশে সীমাবদ্ধ না থেকে সারা দেহে ছড়িয়ে যেতে পারে। দেখা দিতে পারে রক্ত-ভরা ফোসকা।


গুরুতর ক্ষেত্রে এর থেকে সেপ্টিসিমিয়া,এনকেফেলাইটিস, আর্থ্রাইটিস, নেফ্রাইটিস, নিউমোনিয়া,প্যানক্রিয়াটাইটিস এমনকী হেপাটাইটিসও হতে পারে।


গর্ভাবস্থায় শেষের দিকে হারপিস হলে নবজাতকের সংক্রমণের সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে।


আর গর্ভাবস্থায় প্রথম দিকে হলে শিশুটি নানারকমের জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মাতে পারে। একে বলে ‘কনজেনিটাল ভ্যারিসেলা সিনড্রোম’।


আর একটি সমস্যা হতে পারে হারপিস থেকে, তা হলো পোস্ট-হারপেটিক নিউরালজিয়া (PHN)। হারপিস সেরে যাবার দু’মাস পর রোগীর এই PHN এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।


তবে PHN এ আক্রান্ত হওয়ার ফলে যদি অপথ্যালমিক স্নায়ুটি আক্রান্ত হয়,তাহলে কেরাটাইটিস, আইরাইটিস, কর্নিয়ায় ঘা, এমনকী দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

হারপিসের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা:

হারপিস জোস্টারের ফুসকুড়ি চলে যাওয়ার পরেও জ্বালাপোড়া অথবা ব্যথা অনেক দিন পর্যন্ত থাকতে পারে, একে ‘পোস্ট-হারপেটিক নিউরালজিয়া’ বলে।


পোস্ট-হারপেটিক নিউরালজিয়া চিকিৎসায় প্রিগাবালিন অথবা এমিট্রিপটাইলিন জাতীয় ওষুধ দীর্ঘমেয়াদি সেবন করতে হতে পারে।


যত দ্রুতই চিকিৎসা শুরু করুন, জোস্টার পুরোপুরি ভালো হতে ২-৩ সপ্তাহ সময় লাগে।


পোস্ট হারপেটিক নিউরালজিয়ার চিকিৎসা আরও দীর্ঘমেয়াদি; ক্ষেত্রবিশেষে ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত সময় লাগে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।




সাবস্ক্রাইব করুন। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রশ্ন, উত্তর বা উপদেশ পেতে শুধু হোয়াটস্যাপ +৮৮০১৮১৩৬৮০৮৮৬ এ মেসেজ দিন।

মন্তব্যসমূহ