বিসিএস পরীক্ষা
অর্থাৎ প্রার্থী যে বিষয়েই তার স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রী অর্জন করুন না কেন তিনি ১৪টি সাধারণ ক্যাডারের সবগুলোই চয়েস দিতে পারবেন।
বিসিএস পরীক্ষা বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষা। গড়ে, প্রতি বছর ৩৫০,০০০থেকে ৪২৫,০০০ প্রার্থী আবেদন করে এবং প্রার্থীদের উপস্থিতির শতাংশ ৯০% এর বেশি।
সকল ক্যাডারের জন্য প্রায় ২% এবং সাধারণ ক্যাডারদের জন্য ০.৫% চূড়ান্ত সাফল্যের হার সহ প্রার্থীদের একটি তিন-পর্যায়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে, যদিও এটি বছরের পর বছর পরীক্ষায় পরিবর্তিত হয়।
সিভিল সার্ভিস কমিশন
সরকারি কর্ম কমিশন (Bangladesh Public Service and Commission) একটি স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা, যার দায়িত্ব সরকারি চাকরিতে নিয়োগ সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করা।
এটি বাংলাদেশের একটি সাংবিধানিক ও স্বাধীন সংস্থা। একজন চেয়ারম্যান এবং কয়েকজন মেম্বার নিয়ে পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য কমিশন গঠিত হয়।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের নিয়োগ প্রদান করেন। বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে সাধারণত দুই ধরনের ক্যাডার পদে নিয়োগ দেয়া হয় যা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে মোট ২৭টি ক্যাডার আছে। ক্যাডার চয়েস মোতাবেক ভাইভা বোর্ডে প্রশ্ন করেন পরীক্ষকরা।
টেকনিকেল ক্যাডার গুলো
- বিসিএস স্বাস্থ্য,
- বিসিএস প্রকৌশল
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কৃষি),
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (মৎস্য),
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বন),
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (সাধারণ শিক্ষা)।
উভয় ক্যাডার ( টেকনিকেল +সাধারণ ক্যাডার আছে,)
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (খাদ্য),
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (তথ্য),
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পশু সম্পদ),
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পরিসংখ্যান),
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বাণিজ্য)
- রেলওয়ে বাণিজ্য
বিসিএস পরীক্ষা গ্রাজুয়েশন এর পর থেকে ত্রিশ বছর বয়স পর্যন্ত যতবার হবে ততবার দিতে পারবেন। হেলথ ক্যাডার ও মুক্তিযুদ্ধ কোটার ক্ষেত্রে ৩২ বছর বয়স পর্যন্ত দেওয়া যাবে।
সাধারণ প্রতিবছর ১ টি করে বিসিএস হলে আর আপনার গ্রাজুয়েশন যদি ২৩ বছর বয়সে শেষ হয় তাহলে আপনি ৭ বার বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
তাই, আজই লেগে পড়ুন পড়ালেখায়। কিন্তু কীভাবে? সেজন্য লিঙ্ক টি দেখতে অনুরোধ করছি।
পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানোর উপায় কী❓👉
বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা ও নিয়মাবলী:
যদি কোন প্রার্থী সাধারণ ক্যাডার এবং পেশাগত বা কারিগরি ক্যাডার উভয় ধরনের ক্যাডার সিলেক্ট করে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এই প্রিক্রিয়াকে Both Cadre বা উভয় ক্যাডার চয়েস বলা হয়।
Both Cadre চয়েস দিয়ে যদি কোন প্রার্থী বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তাহলে লিখিত পরীক্ষায় ঐ প্রার্থীকে সাধারণ ক্যাডার (General Cadre) এর জন্য নির্দিষ্ট ৯০০ নম্বর এবং স্নাতক পর্যায়ে নিজের পঠিত বিষয় থেকে ২০০ নম্বর সহ মোট ১১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
একটা দেশের সরকারি চাকরিকে আমরা প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করতে পারি, একটা হলো সামরিক চাকরি, আরেকটা হলো সিভিল সার্ভিস বা বেসামরিক চাকরি।
পি এস সি এর পুরো নাম বিপিএসসি অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন। বাংলাদেশ প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগের জন্য উপযুক্ত এবং যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি নির্বাচন করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান।
প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগদান, উক্ত কর্মের এক শাখা থেকে অন্য শাখায় পদোন্নতিদান ও বদলিকরণ এবং পদোন্নতি বা বদলিকরণে প্রার্থীর উপযোগিতা-নির্ণয় নীতিসমূহ ; অবসর-ভাতার অধিকারসহ প্রজাতন্ত্রের কর্মের শর্তাবলী, শৃঙ্খলামূলক বিষয়াদি সম্পর্কে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পরামর্শ প্রদান করে থাকে।
বিপিএসসি বাংলাদেশের বেসামরিক চাকুরীতে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের জন্য প্রণীত ৪ ধরনের পরীক্ষার মধ্যে বিসিএস ১টি ।
অন্যগুলো হল, নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ, বিভাগীয় পরীক্ষা ও সিনিয়র স্কেল পরীক্ষা।
বিসিএস -এর ২৬টি ক্যাডারে উপযুক্ত প্রার্থী নিয়োগের উদ্দেশ্যে কমিশন কর্তৃক ৩ স্তরবিশিষ্ট যে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় সেটিই বিসিএস পরীক্ষা ।
Bangladesh Public Service Commission বা 'বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন' গেজেট প্রকাশ করে ক্যাডার হিসেবে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে নিয়োগ দেয়ার জন্য এ দেশে যে পরীক্ষা গ্রহণ করে সেটাই হচ্ছে 'বিসিএস' পরীক্ষা।
ক্যাডার পরিচিতি
বিসিএস ক্যাডার চয়েস লিস্ট সাজানোর আগে প্রথমেই আপনাকে বিসিএস ক্যাডারের ধরন সম্পর্কে জানতে হবে। বিসিএস ক্যাডার সাধারণত ২ ধরনের হয়ে থাকে।
১। সাধারণ ক্যাডার (General Cadre)
২। কারিগরি ক্যাডার (Technical Cadre) / পেশাগত ক্যাডার (Professional Cadre)
এই দুই ধরনের সর্বমোট ২৬ টি ক্যাডার রয়েছে যার মধ্যে ১৪ টি সাধারণ ক্যাডার এবং ১২ টি পেশাগত বা, কারিগরি ক্যাডার যেমন চিকিৎসা, প্রকৌশল, কৃষি ইত্যাদি।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে দুই ধরনের ক্যাডার রয়েছে: সাধারণ ক্যাডার এবং প্রফেশনাল/টেকনিক্যাল ক্যাডার।
- বিদ্যমান ক্যাডার: ২৬ টি
- সাধারণ ক্যাডার: ১০ টি
- পেশাগত ক্যাডার: ১২টি
- সাধারণ ও পেশাগত উভয় পদের ক্যাডার:
- ক্যাডার আর নেই:
- বিলুপ্ত ক্যাডার: ২ (২০০৭ সালে বিচার বিভাগীয়, ২০০৮ সালে টেলিযোগাযোগ)
- প্রশাসন ক্যাডারে একীভূত ক্যাডার: ২ (১৯৯২ সালে সচিবালয়, ২০১৮ সালে অর্থনৈতিক)
ক্যাডার কী?
ক্যাডার এর অর্থ হচ্ছে কিছু লোককে নিয়ে গঠিত একটা গোষ্ঠী বা দল, যাদেরকে একটা বিশেষ কার্য সম্পাদনের জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় এবং সেই কাজে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিসিএস চাকরির মাধ্যমে সরাসরি দেশ সেবায় অংশগ্রহন করা যায়। আপনি যদি পেশাগতভাবে দেশ সেবা করতে চান তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হলো বিসিএস।
আমরা বলতে পারি যে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার দুইটি উল্লেখযোগ্য কারন হলো চাকরির নিরাপত্তা ও সামাজিক অবস্থা এবং দেশ সেবা।
আপনি সম্ভবতঃ বিসিএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সম্প্রতি পত্রিকায় উত্তির্ন প্রার্থীদের চটকদার হাসিখুশি 😊 সাক্ষাৎকার দেখে উৎসাহিত হয়েছেন। কিন্তু তাদের এতদিনের পঠিত বিষয় ও বিসিএসে ক্যাডার পছন্দের বিষয় দেখে সত্যিই আমাদের লজ্জা 😋 পাওয়ার কথা।
যদিও আমি লজ্জিত নই, কেননা কিছু ক্যাডারের ক্ষমতা, সুযোগ ও দাপটের কাছে অধিক শিক্ষিত হয়েও অন্য ক্যাডারের অসহায়তা রীতিমতো সেই ক্যাডারগুলোর প্রতি উপযুক্ত প্রার্থীদের অনাগ্রহী করে তুলেছে।
সেজন্য এবারের বিসিএসে জেনারেল ক্যাডারের পদ পুর্ন হলেও টেকনিক্যাল ক্যাডারের অনেক পদ শুন্য রয়ে গেছে, তন্মধ্যে শিক্ষা ক্যাডার অন্যতম। যেহেতু আপনি শিক্ষা ক্যাডারে যেতে ইচ্ছুক বা অনিচ্ছুক যাই হোন, এই অর্থহীন গল্প বললাম। সেজন্য ক্ষমাপ্রার্থি।
সিভিল সার্ভিস বাংলাদেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চাকরি। এই চাকরিতে আসার আগে, প্রার্থী এই চাকরির যোগ্য কি না সেটা খুব ভালোভাবেই বিবেচনা করা হয়। তবে যোগ্যতার মানদন্ডে আহামরি কোন শর্ত নেই।
যাদের চোখে সমস্যা তাদের একটা ভয় কাজ করে বিসিএস নিয়ে। "আমার তো চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা, আমি কি বিসিএস দিতে পারব?"
এরকম অসংখ্য দুশ্চিন্তা, ভয় থাকে আমাদের। আমরা নেগেটিভ বিষয় নিয়ে ভাবতে ভালোবাসি। কোন একটা জিনিস না থাকলে আমার কি হবে, সেটা নিয়েই আমাদের যত মাথাব্যাথা।
আদতে বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা অনেকটা শিথীল। যে কেউই আবেদন করতে পারবেন যদি না খুব বড় ধরনের কোন সমস্যা থাকে।
বিসিএস ক্যাডার হওয়ার যোগ্যতা:
মূলত ৪ ধরনের যোগ্যতা বিবেচনা করা হয় প্রার্থীদের জন্য।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা
- বয়স সীমা
- নাগরিকত্ব
- শারীরিক ও মানসিক যোগ্যতা
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ
বিসিএসের সাধারণ ক্যাডারে আবেদনের জন্য প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি বা কোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ৪ (চার) বছর মেয়াদে স্নাতক ডিগ্রি বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে।
তবে, যদি একজন প্রার্থীর শিক্ষা জীবনে একাধিক ৩য় বিভাগ/শ্রেণি বা সমমানের জিপিএ থাকে, তবে তাকে যোগ্য বলে বিবেচিত করা হবে না।
পেশাগত ক্যাডারের শিক্ষাগত যোগ্যতা:
পেশাগত ক্যাডারের জন্যও আলাদা শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। পদ ভিত্তিক বিস্তারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা বিভিন্ন বিসিএস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
শিক্ষা ক্যাডারের যোগ্যতা:
বিসিএসে সরকারি সাধারণ কলেজের জন্য সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের জন্য আলাদা শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।
শিক্ষা ক্যাডারের জন্য প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা সমমানের জিপিএ বা দ্বিতীয় শ্রেণিতে অনার্সসহ দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের জিপিএ থাকতে হবে।
অথবা প্রাসঙ্গিক বিষয়ে চার বছরের জন্য ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের জিপিএ সহ স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি।
নাগরিকত্বঃ
বাংলাদেশের নাগরিক নয় এমন কোন ব্যক্তি বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না।
সরকারের অনুমতি ব্যতিরেকে কোন বিদেশী নাগরিককে বিয়ে করলে বা বিয়ে করার প্রতিজ্ঞা করলে তিনি বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন না।
শারীরিক যোগ্যতাঃ
লিখিত, মনসতাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মেডিকেল টেস্ট করানো হয়। মেডিকেল টেস্টে পাশ না করলে ক্যাডার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া যায়না।
মেডিকেল টেস্ট:
- উচ্চতা, ওজন ও বক্ষ পরিমাপ করা হয়।
- দৃষ্টিশক্তি যাচাই করা হয়।
- মূত্র পরীক্ষা করা হয়।
উচ্চতা, ওজন ও বক্ষ পরিমাপঃ
শারীরিক যোগ্যতা:
বিসিএস পুলিশ এবং বিসিএস আনসার ক্যাডারের ক্ষেত্রে, পুরুষ প্রার্থীর উচ্চতা কমপক্ষে 162.56 সেমি বা ৫'৪" এবং ওজন কমপক্ষে 54.54 কেজি হতে হবে।
মহিলা প্রার্থীদের জন্য সর্বনিম্ন উচ্চতা 152.40 সেমি বা ৫'। এবং সর্বনিম্ন ওজন 45.45 কেজি হওয়া উচিত।
অন্যান্য সমস্ত ক্যাডারের জন্য, পুরুষ প্রার্থীদের ন্যূনতম উচ্চতা 152.40 সেমি বা ৫'। এবং মহিলা প্রার্থীদের জন্য সর্বনিম্ন ওজন 45.00 কেজি এবং সর্বনিম্ন উচ্চতা 147.32 সেমি বা ৪' ১০"।
এবং মহিলাদের জন্য সর্বনিম্ন ওজন 40.00 কেজি হওয়া উচিত।
উল্লেখ্য যে, ওজন কম হলেও বাড়ানোর সুযোগ দেয়া হয়।
দৃষ্টিশক্তিঃ
নিম্নলিখিত মানদন্ড অনুযায়ী বিবেচনা করা হয়।
সহজ কথায় চোখে সমস্যা থাকলে ও চশমা ব্যবহার করার পরে যদি কোন সমস্যা না থাকে তাহলে ক্যাডার হতে কোন সমস্যা নেই
কেউ যদি রঙ ধরতে না পারেন তাহলে ও তিনি বিসিএস এ যোগ্য হবেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে এই তথ্য উনার রিপোর্টে লিখা থাকতে হবে।
বক্ষ পরিমাপঃ
উচ্চতার সাথে বক্ষ পরিমাপে নিম্নোক্ত চার্ট অনুসরণ করা হয়।
জজ-ম্যাজিষ্ট্রেট হওয়ার নিয়মাবলী কী 👉❓
স্নাতক, সম্মান, ডিগ্রি পাস অধ্যয়নরত প্রার্থী/ উপস্থিত প্রার্থী :
যদি একজন প্রার্থী এমন একটি পরীক্ষায় উপস্থিত হয়ে থাকেন যে যদি তিনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, তাহলে তিনি বিসিএস পরীক্ষা-এ অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য হবেন, তাহলে তিনি উপস্থিত প্রার্থী হিসেবে আবেদন করতে পারবেন।
তবে, ওই বিসিএসের আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখের মধ্যে তার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত না হলেও, তিনি প্রার্থী হিসেবে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তবে তা সাময়িকভাবে গ্রহণ করা হবে।
বিসিএস-এর জন্য আবেদনের শেষ তারিখের মধ্যে যারা তাদের স্নাতক/স্নাতকোত্তর পরীক্ষা শেষ করেছেন শুধুমাত্র তারাই বৈধ প্রার্থী হিসাবে বিবেচিত হবে।
তবে শর্তঃ
- বিসিএস পরীক্ষার আবেদনপত্র জমাদানের শেষ তারিখের মাঝেই তার সকল লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার প্রমাণ স্বরুপ পেপারস বা ডকুমেন্টস আবেদনের সাথে যুক্ত করতে হবে।
- আবেদনপত্র সাময়িকভাবে গ্রহণ করা হবে তবে বিসিএস প্রার্থীকে অবতীর্ণ প্রার্থী হিসেবেই বিবেচনা করা হবে।
- অবতীর্ণ প্রার্থীকে তার মৌখিক পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখের পূর্বে যথাশীঘ্র সম্ভব
- বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্জিত প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতার (অনার্স, মাস্টার্স, এমবিবিএস ইত্যাদি) মূল অথবা সাময়িক সার্টিফিকেট বিপিএসসি কমিশনে দাখিল করতে হবে।
- এই বিধির অধীন আবেদনকারী প্রার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য তার আবেদনপত্রের সাথে উক্তরূপ শিক্ষাগত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রমাণস্বরূপ উক্ত পরীক্ষার প্রবেশপত্র(এডমিট কার্ড) এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত পরীক্ষা শুরু ও শেষ হওয়ার তারিখ যুক্ত প্রত্যয়নপত্র অবশ্যই জমা করতে হবে।
বয়সসীমা:
প্রার্থীদের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে, মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ছেলে ও মেয়ে, প্রতিবন্ধী প্রার্থী এবং বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের প্রার্থীদের বয়স ২১ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে গ্রহণ করা হবে। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের জন্য, শুধুমাত্র ২১ থেকে ৩২ বছর বয়সী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীদের গ্রহণ করা হবে।
বিসিএস আবেদনের নিয়মঃ
প্রার্থী যদি শুধুমাত্র সাধারণ ক্যাডারের প্রার্থী হতে চান, তিনি যদি সাধারণ ক্যাডারের আবেদনপত্রের বোতামে ক্লিক করেন, তাহলে সাধারণ ক্যাডারের আবেদনপত্রটি দৃশ্যমান হবে।
একইভাবে, আপনি যদি সাধারণ এবং কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারের প্রার্থী হতে চান তবে উভয় ক্যাডারের জন্য নির্ধারিত বোতামে ক্লিক করলে উভয় ক্যাডারের আবেদনপত্র দৃশ্যমান হবে। কাঙ্খিত বিসিএস আবেদনপত্র দৃশ্যমান হলে, প্রদত্ত নির্দেশাবলী অনুযায়ী ফর্মের প্রতিটি অংশ পূরণ করতে হবে।
>বিসিএস আবেদনপত্রের ৩টি অংশ রয়েছে:
- পার্ট-1: ব্যক্তিগত তথ্য,
- পার্ট-2: শিক্ষাগত যোগ্যতা,
- পার্ট-3: ক্যাডার বিকল্প।
বিসিএস আবেদনপত্র পূরণের বিস্তারিত নির্দেশাবলী এবং বিসিএস আবেদনপত্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রদত্ত তথ্য/নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে হবে।
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় মোট ৩ টি ধাপ থাকে।
- প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
- লিখিত পরীক্ষা
- ভাইভা পরীক্ষা
১ম ধাপ,প্রিলিতে ২০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। মোট ১০ টি বিষয় থাকে। আদতে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নম্বর কোন কাজে আসে না। মূল ক্যাডার নির্বাচনে লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষার নম্বর বিবেচনা করা হয়। প্রিলি পরীক্ষা হলো একটা গেটওয়ে।
এই পরীক্ষা প্রার্থীর সংখ্যা কমানোর পরীক্ষা। স্বভাবতই লাখ লাখ শিক্ষার্থীর লিখিত বা ভাইভা পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না।
সেক্ষেত্রে কয়েক বছর লেগে যাবে। তাই এমসিকিউ পদ্ধতিতে প্রিলি পরীক্ষা নেয়া হয়। এই পরীক্ষায় ক্ষেত্রবিশেষে ২০-২৫ হাজার প্রার্থীকে পাশ করানো হয়। যারা প্রিলি পাশ করে শুধু তারাই লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পান।
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রথমেই প্রিলি সিলেবাস টা দেখে নেয়া যাক।
মনে রাখতে হবে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুধুই টিকার পরীক্ষা। এখানে ১৯০ পাওয়া যে কথা নূন্যতম ১২০ পেয়ে পাশ করা ও একই কথা। এই পরীক্ষার নম্বর মূল বিসিএস পরীক্ষায় যোগ হয় না।
স্বাস্থ্য ও রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা পরামর্শ পেতে ২০০ টাকা নিম্নোক্ত নম্বরে বিকাশ করে হোয়াটস্যাপ করুন যেকোন সময়ে, যেকোন বিষয়ে; +৮৮০১৮১৩৬৮০৮৮৬,
মন্তব্যসমূহ